মঙ্গলবার দলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ‘রাজনৈতিক দল ভাঙানো আমাদের স্বভাব নয়। তবে উন্নয়নের লক্ষ্যে কেউ যদিও আমাদের সঙ্গে আসতে চায়, সর্বদা স্বাগত।’ ডেরেক বলেন, এই তো আগামী ২০ আগস্ট সোনিয়া গান্ধী বিরোধীদের বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে যথারীতি আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। অসমের বাসিন্দা সুস্মিতাকে ত্রিপুরা ও অসমে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানো হবে বলেই মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেয় তৃণমূল। তবে কি ত্রিপুরায় তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, নাকি বাংলা থেকে রাজ্যসভার এমপি? কোন ভূমিকায় দেখা যাবে? প্রশ্ন করায় সুস্মিতা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমি কোনও পদের লোভে তৃণমূলে যোগ দিইনি। তবে আমি সাংগঠনিক কাজ করতে ভালোবাসি। তাই মমতাদি যে দায়িত্বই দেবেন, হাসি মুখে পালন করব। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত ৩০ বছর আমি কংগ্রেসে ছিলাম। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর প্রতি আমার কোনও ক্ষোভ নেই। কংগ্রেস আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। দায়িত্বও দিয়েছে। আশাকরি তা ভালোভাবে পালন করেছি। ভবিষ্যতেও কংগ্রেসের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালোই থাকবে। এক প্রশ্নের উত্তরে সুস্মিতা বলেন, কংগ্রেস আর টিএমসির মধ্যে আদর্শগত কোনও তফাৎ নেই। তাই আমি দল বদলালেও আদর্শচ্যুত হয়নি। সুস্মিতা বলেন, সিঙ্গুরের কৃষক আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৬ দিনের অনশন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন, লড়াকু মনোভাবই আমাকে তৃণমূলে টেনে এনেছে। তাছাড়া আমার বাবা প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ভালো। কেবল রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক বলা চলে। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়ে কোনও ভালোই করেছি বলে মনে হয়। তাই বেঁচে থাকলে আগামী ৩০ বছর তৃণমূলেই থাকব।