কলকাতাঃ জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে ময়দানে গান্ধী মূর্তির নীচে ১ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য পেশ করেন দলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি, তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ছিলেন জয়া দত্ত। অবস্থানের আগে শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পতাকাও তোলা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘কোর্টের কাজ কোর্ট করেছে। কোর্টকে সঠিক তথ্য কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। নিট, জয়েন্ট পরীক্ষা না পিছোলে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বিপদে পড়বেন অভিভাবকরাও। তাঁরাও করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। এত মানুষের দায়িত্ব নেবে কে?’ পড়ুয়াদের বাস্তব সমস্যা তুলে ধরে অভিষেক বলেন, ‘ট্রেন চলছে না। বিহার, অসমে বন্যা হচ্ছে। কারও বাড়ি থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র ৩০০ কিলোমিটার দূর। কারও ৫০০ কিলোমিটার। তাঁরা কীভাবে পরীক্ষা দেবেন, ভেবে দেখেছে কেন্দ্র? কেউ কেউ হয়তো হোটেলে থাকবেন, তাঁদের সুরক্ষা কে দেবে? এই পরিস্থিতিতে আগে মানুষের জীবন।’ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গ টেনে অভিষেকের পরামর্শ, ‘টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। এতদিন ডিজিটাল ভারত অভিযান চালিয়েছেন, আজ এসব কোথায় গেল? ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আপনারাই বলেন, ছাত্র-যুব সমাজ দেশের ভবিষ্যত্। তাহলে তাদের বাঁচানোর দায়িত্ব আপনাদের নয়? এতদিন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কথা বললেন। এখন সেটাকে কাজে লাগাচ্ছেন না কেন?’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-র উদ্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৬ মাস হয়ে গেল করোনা পরিস্থিতি ভাল হওয়া তো দূরের কথা আরও খারাপ হচ্ছে। আপনি বললেন থালা বাজাতে, লোকে বাজাল। আপনার কথা মানুষ শুনল। এখন তাঁদের কথা আপনি শুনছেন না। পরিযায়ীদের বিপদের মুখে ঠেলে দিলেন।’ ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যাঁরা মাস্ক পরছেন না, তাঁরা পরুন। দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করুন।’ তাঁর প্রশ্ন, পরীক্ষার্থীরা আক্রান্ত হলে তার দায় কে নেবে।