কলকাতা

‘ভরসা রাখুন, মানবিকভাবে থাকব, রাজনৈতিকভাবেও’, চাকরিহারাদের বার্তা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

ভরসা রাখুন, মানবিকভাবে থাকব, রাজনৈতিকভাবেও থাকব। চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘যোগ্য’ কিন্তু চাকরিহারাদের বার্তা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখুন। সুপ্রিম কোর্টের কলমের খোঁচায় একধাক্কায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা চাকরি হারিয়েছেন। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে আগামী তিন মাসের মধ্যেই পক্রিয়া শেষ করতে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়ে দিলেন, সরকার থেকে দ্রুত নিয়োগের চিঠি পেয়েছি। আমরা আলোচনা করছি। এত কম সময়ের মধ্যে সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেবে কমিশন। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্রাত্য বললেন, “গতকালই মুখ্যমন্ত্রী এটা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। বিশদে অনেককিছু বলেছেন। আমি আমার বিভাগীয় দায়িত্ব থেকে বলতে পারি মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন যাঁরা বঞ্চিত এবং যোগ্য তাঁদের পাশে আমরা সর্বতভাবে থাকব। মানবিকভাবে থাকব, রাজনৈতিকভাবেও থাকব।” তিনি আরও বলেন, অযোগ্য এবং যোগ্য বা একদলকে বেতন ফেরত দিতে হবে এবং একদলকে নয়, তা আমার কথা নয়। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির রায় উল্লেখ রয়েছে। এসএসসির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেন্টেড এবং আনটেন্টেড বলা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এসএসসি যোগ্য বা অযোগ্য ভাগ করতে পারেনি তা নয়। হয়ত তা নিয়ে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তবে প্রধান বিচারপতির রায়ের পর যোগ্য এবং অযোগ্যের একটা ভাগাভাগি আমরা বুঝতে পারছি। তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা যোগ্য এবং বঞ্চিত তাঁদের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি সব তরফ থেকে করা হয়, সেই আবেদনও করব।’ সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বঞ্চিত ও যোগ্যদের পাশে থাকবে রাজ্য় সরকার। এই রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন নিয়ে ব্রাত্য জানান, সেই সিদ্ধান্ত এসএসসির। অন্যদিকে একেবারে দিশেহারা অবস্থা চাকরিহারাদের। কীভাবে কী করবেন তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। এদিনই চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশ ভবন অভিযানে নেমেছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একটা বড় অংশ। সেখান থেকেই গর্জে উঠলেন এক বিক্ষোভকারী।