ক্রাইম দেশ

DELHI: নেপথ্যে স্বামীর সমকামী সম্পর্ক! দিল্লিতে বক্স খাটের ভেরত থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা দেহ 

মহিলার পচাগলা দেহ মিলল বক্স খাটের মধ্যে থেকে ৷ দিল্লি পুলিশ শাহদরা জেলার বিবেক বিহার থানা এলাকার সত্যম এনক্লেভের ডিডিএ ফ্ল্যাট থেকে পচে যাওয়া দেহটি উদ্ধার করে ৷ একটি বক্স খাটের মধ্যে মহিলার দেহটি একটি ব্যাগে পুরে কম্বল দিয়ে ঢাকা দেওয়া অবস্থায় ছিল ৷ পুলিশ এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ৷ এরপর শনিবার এই ঘটনায় ওই ফ্ল্যাটের মালিক ৬৪ বছর বয়সি বিবেকানন্দ মিশ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এছাড়া অভয় কুমার ঝা ওরফে সোনু নামের এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ কিন্তু মহিলার স্বামী আশিস কুমারকে ঘটনার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলা অঞ্জু ওরফে অঞ্জলি (৩৫) দিল্লিতে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতেন ৷ আশিসের বাড়ি বিহারে ৷ দম্পতির একটি ৪ বছরের শিশুকন্যা আছে ৷ কয়েকদিন আগে অঞ্জু তিনজন পুরুষকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন ৷ এরপর অঞ্জু ফ্ল্যাট ছেড়ে পঞ্জাবের লুধিয়ানায় বাপের বাড়িতে চলে যান ৷ গত ২১ মার্চ স্বামী আশিস লুধিয়ানা গিয়ে অঞ্জুকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে দিল্লি ফিরিয়ে আনে ৷ এর দু’দিন বাদে ২৩ মার্চ তিন জন পুরুষ অঞ্জুকে হত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ খুনের পর তারা অঞ্জুর দেহ বিবেকানন্দ মিশ্রর ফ্ল্যাটে একটি বক্স খাটের মধ্যে ব্যাগে ঢুকিয়ে কম্বল চাপা দিয়ে রেখে দেয় ৷ অভিযুক্ত তিনজন অর্থাৎ মিশ্র, সোনু ও আশিস তারপর জয়পুরে পালিয়ে যায় ৷ তারা ধৃত সোনুর এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকে ৷সিডিআর বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানতে পেরেছে তিনজন অভিযুক্ত ২৩ মার্চ একসঙ্গে জয়পুরে গিয়েছিল ৷ পরের দিন শুধু প্রৌঢ় বিবেকানন্দ মিশ্র দিল্লি ফিরে আসে ৷ অন্যদিকে অভয় কুমার ঝা ওরফে সোনু এবং অঞ্জুর স্বামী আশিস বিহারে পালিয়ে যায় ৷এই ঘটনা প্রসঙ্গে শাহদরা জেলার ডিসিপি প্রশান্ত গৌতম বলেন, “শুক্রবার রাত 8টা নাগাদ সত্যম এনক্লেভের ডিডিএ ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসছে বলে আমাদের কাছে খবর আসে ৷ অভিযোগ পেয়ে বিবেক বিহার থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল ৷ চারদিক ভালো করে দেখতে গিয়ে আমাদের চোখে পড়ে পিছনের একটি দরজা দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে ৷ এরপর তালা ভেঙে পুলিশের দল ভিতরে ঢোকে ৷ তল্লাশি চালাতে গিয়ে বক্স খাটের মধ্যে থেকে একটি বড় ব্যাগ পাওয়া যায় ৷ ওই ব্যাগটি আবার কম্বল দিয়ে জড়ানো ছিল ৷ এরপর ব্যাগ থেকে মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ৷” আরেক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ফ্ল্যাটের মালিকের সন্ধান করতে থাকে ৷ প্রৌঢ় বিবেকানন্দ মিশ্রের অবস্থান ট্র্যাক করে আনন্দ বিহারের সুরজমল পার্ক থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ৷ জেরায় মিশ্র স্বীকার করে যে অভয় কুমার ঝা ওরফে সোনু ও অঞ্জুর স্বামী আশিস এই খুনের ঘটনায় জড়িত ৷ পেশায় গাড়িচালক সোনু বিহারের সুপৌলের বাসিন্দা ৷