ডাকাতির পর স্বামীকে আটকে রেখে তাঁর সামনেই বধূকে গণধর্ষণ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নালন্দার ইসলামপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের রাস্তায় ৷ ঘটনাটি ঘটে রাতের দিকে ৷ তাঁদের চিৎকারে গ্রামবাসীরা জড়ো হলে একজন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় ৷ কিন্তু একজনকে গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক দুষ্কৃতীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ৷ পরিস্থিতি জানতে পেরে হিলসার ডিএসপি ২ গোপাল কৃষ্ণ ও থানার ইনচার্জ অনিল কুমার পাণ্ডে ঘটনাস্থলে যান ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ “রাতে স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে চেপে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলাম । সেই সময় দু’জন বন্দুকধারী দুষ্কৃতী আমাদের পথ আটকায় । তারা ৫০০০০ টাকা এবং গলা থেকে হনুমানের একটি সোনার লকেট ছিনিয়ে নেয় । প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করে । এরপর তারা আমার মাথায় বন্দুক ধরে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে ৷ আমাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের গ্রামের লোক ছুটে এসে একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করে ৷ অন্য অপরাধী বাইকটি নিয়ে পালিয়ে যায়।” এদিকে, একজন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ দ্বিতীয়জনের খোঁজে গ্রামে পৌঁছলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান ৷ গ্রামবাসীরা পুলিশকে আক্রমণ করেন ৷ এই ঘটনায় তিনজন পুলিশকর্মী আহত হন । পুলিশকে মারধরের জন্য তিন জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ থানার ইনচার্জ অনিল কুমার পাণ্ডে জানান, ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃত দুষ্কৃতী শোভাবিঘার বাসিন্দা । দ্বিতীয় অভিযুক্ত পলাতক । তবে তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে ৷ খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে ।
