নদিয়ার ধুবুলিয়ায় এবার রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া৷ প্রায় ৫ মাস ধরে মৃত মায়ের দেহ আঁকড়ে পড়ে রইলেন মেয়ে।খবর পেয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন ধুবুলিয়ার বাসিন্দা মন্দিরা দাস। মাঝে কী হয়েছে কেউ জানে না । কোনও আত্মীয় খোঁজ নিলে মেয়ে দোলা বলতেন, মা বাড়িতে নেই কলকাতায় গিয়েছেন । কাউকে কাউকে বলতেন মা অসুস্থ । তবে আসলে যে ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে পারত না কেউই । শনিবার সামনে এল পুরো ঘটনা । এক আত্মীয়া এদিন দোলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁর মা মন্দিরার খোঁজ করেন । দিনের পর দিন বৃদ্ধা বাড়িতে নেই একথা শুনে সন্দেহ হয় এই আত্মীয়র । তিনি জোর করে ঘরে প্রবেশ করেই দেখেন পড়ে রয়েছে একটি কঙ্কাল । ঠিক কতদিন আগে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয় । মৃত মহিলার নাম মন্দিরা দাস, বয়স ৫৬ বছর। পুলিশের অনুমান, প্রায় ৫ মাস ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখছিলেন মেয়ে । শনিবার রাতে মৃতার এক আত্মীয়ার কাছে খবর পেয়ে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । অভিযোগ, মেয়ে দোলা মায়ের মৃত্যুর খবর কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে জানাতে চাননি । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ । এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখার অফিসে পরিচারিকার কাজ করতেন দোলা । মায়ের দেহ বাড়িতে ফেলে কাজেও যেতেন তিনি । নিজে রান্না করে খেতেন, সবসময় বন্ধ রাখতেন ঘরের দরজা-জানলা । ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দোলা বলেন, “মাকে দুধ গরম করে খেতে দিতাম । তারপর আর কবে মায়ের মৃত্যু হয়েছে তা আমি জানি না । মা ওই ঘরে শুয়ে বলেছিল আমি সুস্থ হয়ে উঠে আসব ঠিক । মা আমাকে সাবধান করে বলেছিলেন, মৃত্যুর খবর পেলে সবাই লুটেপুটে খাবে তাই কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই ।” তবে এলাকাবাসীর দাবি, এই মহিলার মানসিক সমস্যা ছিল । সেই কারণেই এমন ঘটনা নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ।