উত্তরপ্রদেশে যোগী-রাজেই আস্থা রাখলেন ভোটাররা ৷ তাঁদের সমর্থনে ম্যাজিক ফিগারের থেকে অনেক বেশি আসনে জিতে ফের উত্তরপ্রদেশের সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি ৷ বলা বাহুল্য, দ্বিতীয়বার হিন্দি বলয়ের ওই রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন গোরক্ষনাথ মঠের প্রধান মহন্ত যোগী আদিত্যনাথ ৷ যদিও তাঁর এই জয় গতবারের মতো মসৃণ নয় ৷ ২০১৭ সালে বিজেপি তিনশোর বেশি আসনে জিতে উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়েছিল ৷ প্রধান প্রতিপক্ষ সমাজবাদী পার্টিকে মাত্র ৫২-তে আটকাতে সক্ষম হয়েছিল গেরুয়া শিবির ৷ এবার অবশ্য তা হয়নি ৷ বরং অখিলেশ যাদবের দল ১০০-র বেশি আসনে জিতেছে ৷ উত্তরপ্রদেশে গত পাঁচ বছরে যোগী-রাজে একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযুক্তদের ভুয়ো এনকাউন্টারে মেরে ফেলা থেকে হাথরস-উন্নাওয়ে ধর্ষণের অভিযোগও বারবার অস্বস্তিতে ফেলেছে যোগী সরকারকে ৷ তাছাড়া মেরুকরণের অভিযোগ উঠেছে যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে ৷ কোভিড-কালে গঙ্গায় মৃতদেহ ভাসা নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি ৷ ইভিএম খোলার পর দেখা গেল, এসবের কোনওটাই খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি উত্তর প্রদেশের মানুষের মনে ৷ ফলে উত্তর প্রদেশে বিজয়রথ অব্যাহত থেকেছে ৷ তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পাঁচ বছরের সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মনে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, তার প্রভাব ভোটে অবশ্যই দেখা গিয়েছে ৷ সেই কারণে বিজেপি ও তার জোট সঙ্গীদের আসন অন্তত ৬০টি কমে গিয়েছে ৷ তার লাভ পেয়েছেন অখিলেশ যাদব ৷কিন্তু অখিলেশের পাঁচ বছরের শাসনে যে যে অভিযোগগুলি উঠেছিল, সেগুলি থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি উত্তর প্রদেশের মানুষ ৷ সেই কারণে অখিলেশ এবারও বিরোধী আসনেই থেকে গেলেন ৷ রাজনৈতিক মহলের অন্য একটি মহল থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে ৷ এছাড়া রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের বিধানসভা ভোটে মোদি ফ্যাক্টরও সমানভাবে বিজেপির পক্ষে কাজ করেছে ৷ সেই ফ্যাক্টর উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে কাজ করেছে ৷ তাই এই রাজ্যগুলিতে জিতেছে বিজেপি ৷ কিন্তু পঞ্জাবে কাজ করেনি সেই ফ্যাক্টর ৷