জেলা

বর্ধমানে পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন যুবক, আটক ২

আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার পরে বাড়ি তৈরিকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল ৷ যার জেরে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর এলাকা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বরের দেনুড় পঞ্চায়েতের মৌসা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম হাসিবুল শেখ (25)। হাসিবুল ওই মৌসা গ্রামেরই বাসিন্দা। ঘটনায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। ঘটনার জেরে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জায়গা-জমি নিয়ে আক্কেল শেখের পরিবারের সঙ্গে হাসিবুল শেখের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। এদিন ফের দুই পরিবারের শিশুদের মধ্যে মারামারির জেরে ফের ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ শুক্রবার রাতে আক্কেল শেখ তার বাড়ির 6-7 জন সদস্যকে নিয়ে হাসিবুলের বাড়িতে চড়াও হয়। তাদের হাতে ছিল কাটারি, টাঙি, হেঁসো, লাঠি ইত্যাদি। তারা হাসিবুলের বাড়িতে ঢুকে গালাগালি করতে থাকলে হাসিবুল প্রতিবাদ করে। তারা হাসিবুলকে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। তার মাথায় গায়ে টাঙি-কাটারি দিয়ে আঘাত করা হয়। হাসিবুলের নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। ঘটনাস্থলেই হাসিবুলের মৃত্যু হয়। হাসিবুলকে বাঁচাতে গিয়ে আরও কয়েকজন আহত হয়। তাদের মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসিবুল শেখ একজন পরিযায়ী শ্রমিক। ভিন রাজ্যে তিনি কাজ করেন। দিন কয়েক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। তিনি সাধারণত শান্ত স্বভাবের ছিলেন। এদিন আক্কেল শেখের পরিবারের লোকেরা চড়াও হয়ে গালাগালি করতে থাকলে হাসিবুল প্রতিবাদ করে। তখন হাসিবুলের সঙ্গে তাদের তর্কাতর্কি শুরু হয়। সেই সময় তারা হাসিবুলকে মাটিতে ফেলে পেটাতে থাকে। তার মাথায় কাটারির একাধিক কোপ মারা হয়। গায়ে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। তার মাথা, নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় আরও কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।