সল্টলেকের ১১ তলা উঁচু পুলিশ আবাসন থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের। আজ সকালে আবাসনের নিচে পাওয়া যায় এক তরুণের মৃতদেহ ৷ পুলিশের অনুমান, ১১ তলা থেকে পড়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃতের নাম পার্থ সারথি পাল। বছর বাইশের ওই তরুণ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ৷ সল্টলেকেরই সেন মহাশয় এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দা ৷ পুলিশ আবাসনে কী করে বাইরে লোকজন ঢুকল তা ভেবে পাচ্ছেন না বাসিন্দারা ৷ বুধবার সকালে ওই তরুণ কেন পুলিশ আবাসনে গিয়েছিলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ ৷ তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, এর পিছনে প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে ৷ আবাসনের ১১ তলা থেকে ওই তরুণের মোবাইল পায় পুলিশ৷ বাসিন্দারা চেষ্টা করলেও মোবাইল খুলতে পারেননি ৷ ঘটনার পরপরই মোবাইলে ছেলেটির এক বন্ধুর ফোন আসে ৷ তাঁর কাছ থেকেই ছেলেটির পরিচয় জানা যায় ৷ পরে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ৷ জানা গিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ছেলেটির ৷ এরপর ওই মোবাইলের সূত্র ধরে ছেলেটির পরিচয় খুঁজে পায় পুলিশ ৷ আবাসনের বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, তখন সকাল ১০টা বেজে পাঁচ বা দশ মিনিট হবে ৷ হঠাৎই বিকট জোরে আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় ৷ এতটাই জোরে যে মনে হচ্ছিল বাড়ি ভেঙে পড়েছে ৷ সবাই বেরিয়ে দেখে ছেলেটা পড়ে রয়েছে ৷ রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা শরীর। হইচই শুরু হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুবককে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। অন্যদিকে, ছেলেকে খুনের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। প্রেমিকার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মৃত তরুণের পরিবার। প্রেমিকার বাবা পুলিশে কর্মরত। ফলত পার্থসারথীর প্রেমিকা থাকতেন ওই পুলিশ আবাসনের ১১ তলায়। সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরে ওই তরুণী পার্থসারথীকে এড়িয়ে যাচ্ছিল। যোগাযোগ রাখছিল না। সেই কারণে যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিল। দু’জনের মধ্যে সমস্যা চলছিল কিছুদিন ধরেই ৷ আজ সকালে তা চরম পরিণতিতে পৌঁছয় ৷ তবে এটি আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷