৩ জুন, ২০১৩। মাত্র ২৫ বছর বয়সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন সে সময় বলিউডের অন্যতম উজ্জ্বল নবাগতা অভিনেত্রী জিয়া খান। তাঁর মৃত্যু নিয়ে সে সময় কম জলঘোলা হয়নি। জিয়া তাঁর দীর্ঘ সুইসাইড নোটে আঙুল তুলেছিলেন পরিচালক আদিত্য পাঞ্চোলীর ছেলে সুরজ পাঞ্চোলীর উপর। বাচ্চা নষ্ট করার অভিযোগ থেকে শুরু করে, মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন… সুইসাইড নোটের পরতে পরতে ছিল একরাশ অভিমান, অভিযোগ। এবার জিয়ার মৃত্যুর প্রায় আট বছর পর তাঁকে ঘিরে থাকা নানা রহস্য নিয়ে প্রথম বার রিসার্চধর্মী তথ্যচিত্র বানাল ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ওরফে বিবিসি। তিন পর্বের এই তথ্যচিত্রের ইতিমধ্যেই প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্ব উল্লিখিত চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছে। আজ শেষ পর্বটি সম্প্রচারিত হওয়ার কথা। যদিও ভারতীয় নাগরিকরা এখনই এই তথ্যচিত্র দেখতে পারবেন না। মৃত্যুর ঠিক পনেরো মিনিট আগে সিসিটিভিতে যে ট্র্যাকসুট পরে জিয়াকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল সেই ট্র্যাকসুট কেন খুঁজে পেল না পুলিশ? জিয়া তাঁর সুইসাইড নোটে সুরজ পঞ্চালীকে দোষী সাব্যস্ত করলেও কেন সাজা পেলেন না তিনি? এ রকম আরও অনেক ‘কেন’র উত্তর নিয়েই প্রকাশ্যে তথ্যচিত্র ‘ডেথ ইন বলিউড’।