দেশ

কেরলে ২৪ বছরের গর্ভবতীর শরীরে মিলল জিকা ভাইরাস, বাড়াচ্ছে আতঙ্ক!

করোনা আবহে নয়া আতঙ্ক জিকা ভাইরাস আর সম্প্রতি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে জিকা ভাইরাস। সম্পূর্ণ সুস্থ শরীরের উপরও হামলা চালাচ্ছেন জিকা ভাইরাস। চোখের সমস্যা, মাথাব্যথা, সামান্য জ্বর – এ ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এই জিকা ভাইরাস মশার থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্যে। এডিস প্রজাতির মশা থেকে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। প্রাথমিক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, যৌন সম্পর্কের সময় একজনের শরীর থেকে অন্যজনের সরিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। গর্ভবতী মহিলারা এই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেকসময় সুস্থ সন্তানের জন্ম নাও দিতে পারেন, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এখনও পর্যন্ত দেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১। কেরলে ১ জনের শরীরে মিলেছে জিকা ভাইরাস। কেরলে আরও ১৩ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে পুনেতে। তিরুঅনন্তপুরমের পারাসালায় ২৪ বছরের এক যুবতীর শরীরে মিলেছে জিকা ভাইরাস। বছর ২৪-‌এর এই তরুণী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। গর্ভবতী থাকাকালীন তাঁর শরীরে থাবা বসায় জিকা ভাইরাস। জিকা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ বলতে তাঁর শরীরে দেখা যায়:‌ গায়ে ছিল খুব জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে ছিল লাল দাগ। বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখা যায় ওই মহিলা জিকা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। অন্যদিকে বর্ষার মরশুমে এ ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এবার জনস্বার্থে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যদপ্তর। প্রতিটি জেলাকে এই নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। বর্ষার মরশুমে ছোটদের ও বয়স্কদের বিশেষ সাবধানতার কথা বলেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। চোখে সংক্রমণ, জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখলে কোনও আতঙ্ক বা অবহেলা নয়, চক্ষু রোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথা নির্দেশিকায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। সম্প্রতি কলকাতাতেও এ ধরনের রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে দপ্তরে খবর এসেছে।  বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মশাবাহিত রোগ। তেমন আতঙ্কের কিছু নেই। এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তবে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মহামারীর মাঝে এই মশাবাহিত রোগ নিয়ে যাতে রাজ্যবাসী অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, তার জন্যই এই নির্দেশিকা।