কেন্দ্রীয় সরকার চুপিসারে সামলে দেওয়া যাবে বলে মনে করেছিল। কিন্তু সোমবার যে এই কাজটা সহজে হবে না তা বুঝিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তাই জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তির প্রশ্নে কেন্দ্র এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিস পাঠাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এমনকী নিজে কাশ্মীরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে জানালেন প্রধান বিচারপতি। কাশ্মীরকে অবিলম্বে স্বাভাবিক করে তোলারও নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রকে ভর্ত্সনা করল শীর্ষ আদালত।
এদিন রাজ্যসভার সাংসদ তথা এমডিএমকে-এর সাধারণ সম্পাদক ভাইকো ফারুক আবদুল্লার মুক্তির দাবিতে যে হলফনামা দাখিল করেছেন, তার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এসএ বোবদে এবং এসএ নাজিরের বেঞ্চে। সেখানে ফারুক আবদুল্লাকে আটক করে হেপাজতে রাখা হয়েছে কি না তা জানতে চান বিচারপতিরা। ভাইকোর আইনজীবী জানান, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন যে ফারুক আবদুল্লাকে আটক করা হয়নি। কিন্তু তিনি এখন কোথায় তা আমরা জানি না।’
এরপর উপত্যকার সমাজকর্মী এনাক্ষী গাঙ্গুলি শীর্ষ আদালতকে জানান, বাচ্চাদেরও এখানে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই বিষয়টি জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টও দেখতে পারে।’ তখন এনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘হাইকোর্টে যাওয়াটাও এখন ওখানে কঠিন।’ তখনই তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘কেন কঠিন হবে হাইকোর্টে যাওয়া? রাস্তায় কী কেউ এসে পড়ছে? এই বিষয়টা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে জানতে চাইছি। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমি জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে যাব।’ সুপ্রিম কোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপালকে ভর্ত্সনা করে বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা অটুট রেখে উপত্যকাকে স্বাভাবিক করতে সচেষ্ট হোক কেন্দ্রীয় সরকার এবং জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।’