তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর রাজ্য জুড়ে বাংলা এবং অন্যান্য ভাষাতেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইন চালু করার দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হবে। ভাষা বৈষ্যম্যের প্রতিবাদেই হবে কর্মসূচি। এই মর্মে এদিন কেন্দ্র সরকারের কাছে চিঠিও দিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি জানান, ‘অন্য ভাষাতেও জয়েন্টের প্রশ্নপত্র হওয়া উচিত। আমার গুজরাতি ভাষায় কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বাংলা বা অন্যান্য ভাষাগুলি ব্রাত্য থাকবে কেন? বাংলাসহ অন্যান্য ভাষাতেও চালু করতে হবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স।’ বৈঠকের পরই বিবৃতি জারি করা হয় NTA এর তরফে। সেই বিবৃতিতে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, ২০১৩ সালে গুজরাতি ভাষাতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনের প্রশ্নপত্রের দাবিতে আবেদন জানিয়েছিল কেবলমাত্র গুজরাতই। সেই সময় অন্য কোনও রাজ্য আবেদন জানায়নি। মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রসঙ্গে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে বাবুল লেখেন, “মাননীয়া দিদি, কেন্দ্রের কোনো মিটিংয়ে তো আপনি থাকেনও না, কোনো অফিসারকেও পাঠাননা। তাহলে এই ব্যাপারগুলো আপনি জানবেন কি করে!! নিচের বিজ্ঞপ্তিটা একটু কষ্ট করে দেখুন। আপনি বাংলায় প্রশ্নপত্র বানানোর কোনো উত্সাহ প্রকাশই করেননি। গুজরাত করেছে তাই পেয়েছে। এবার দয়া করে টুইটগুলি মুছে ফেলে তাড়াতাড়ি বাংলায় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশ্নপত্র বানানোর ‘রিকোয়েস্ট লেটার’-টা লিখে পাঠিয়ে দিন। এটি যাতে সত্বর করানো যায় তা আমি নিজে দেখবো। শুধু পলিটিক্স করে বাংলার মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি করে চলেছেন আপনি ও আপনার টিএমছি।”