দেশ

ক্রমশ বিপর্যয়ের চরম সীমায় দিল্লির দূষণ

 বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবারে আরও খারাপের দিকে রাজধানীর দূষণমাত্রা । উত্তুরের হাওয়া প্রায় নেই বললেই চলে, শীত কমায় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণও বেশ বেড়েছে। এমন চলতে থাকলে আগামিকাল অর্থাত্‍ শুক্রবার দূষণের করাল ছায়ায় ঢাকতে চলেছে গোটা রাজধানী। লোধী রোডে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী সবথেকে বেশি দূষণের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। বুধবার বেলা আড়াইটেয় সেখানে দূষণমাত্রা ছিল ২৩৪ ও রাত দশটায় ২২৯। যা পরিবেশের নিরিখে অত্যন্ত খারাপ বললেও কম বলা হবে। বিপর্যয়ের শেষমাত্রায় রয়েছে গাজিয়বাদ, সেখানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী দূষণমাত্রা ছুঁয়েছে ৪০৬। মোদ্দা কথা হল খারাপ খুব খারাপ পেরিয়ে ফের রাজধানীর দূষণ বিপদসীমায় পৌঁছাল বলে। এদিকে গত বুধবার লোধী রোডে যথাক্রমে দূষণমাত্রা ২৭১, ২৮১ ও ২১২। মূলত বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও উত্তুরে হাওয়া হঠাত্‍ পড়ে যাওয়াতেই রাজধানী ফের দূষণ জ্বরে জর্জরিত। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে দূষণমাত্রা অত্যন্ত কারাপ এবং বিপদসীমার আশপাশ ও উপর দিয়েই বইছে বলা যেতে পারে। দূষণমাত্রা ফের বাড়তেই দিল্লি এনসিআর-এর বাসিন্দাদের মুখে উঠেছে মাস্ক। দূষণের জেরে বাসিন্দাদের নানারকম উপসর্গ শুরু হয়েছে। চোখ চুলকোচ্ছে, মাথা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। মূলত দীপাবলির সময় থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণ অসুর বাসা বেঁধেছে। এর সঙ্গে প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খড় পোড়ানোর ঘটনা বাড়তেই রাজধানীর আকাশজুড়ে কালো ধোঁয়ার চাদর। দৃশ্যমানতা যেমন কমেছে, তেমনই বাড়ছে অসুস্থতা।