জিয়াগঞ্জ: জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। সৌভিকের বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশির পর ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলের পর রাতে ফের সৌভিক বণিকের বাড়িতে হানা দেয় উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। রাতে সেখান থেকে ৪ জন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। যদিও ঘটনার পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও বেপাত্তা সৌভিক। অভিযুক্তের হদিশ পেতে শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ঘটনার তদন্তে নেমে সৌভিক বণিক নামে এক ব্যক্তির নাম হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।শুক্রবার বিকেলে প্রথমে রামপুরহাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সৌভিক বণিকের বাড়িতে পৌঁছায় মুর্শিদাবাদ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। সৌভিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় তারা। নিহত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশের বন্ধু সৌভিকের ঘর থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করে। নিহত প্রকাশের শাশুড়ির দাবি করেন, তার জেরে চড়া সুদে ধার করে অন্তত ৭-৮ লক্ষ টাকা সৌভিককে দিয়েছিলেন তাঁর জামাই। তবে টাকা ফেরত দিতে চাইত না সৌভিক। টাকা ফেরতের কথা বললে প্রাণনাশের হুমকিও দিত সে। তাই তাঁর অনুমান, আর্থিক বিবাদের জেরে সপরিবারে খুন হতে হয়েছে ওই শিক্ষককে। এদিন রাতে ফের তল্লাশি চালানো সৌভিকের বাড়িতে। রাতেই আটক করা হয় ৪ জনকে।কিন্তু তদন্তে নেমে আরও ঘটনার পিছনে আরও এক যুবকের অস্তিত্ব টের পাচ্ছে পুলিশ। কারণ, সৌভিকের পরিবারের দাবি ছ’মাস ধরে বাড়ির বাইরে থাকত ওই যুবক। কিন্তু দশমীর দিন ওই শিক্ষকের পরিবারের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে এক যুবককে বেড়িয়ে যেতে দেখেছিলেন। কে ওই যুবক? খুনের পিছনে তার ভূমিকা কী? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পাশাপাশি, মৃতা বিউটি মণ্ডলের লেখা চিঠির সূত্র ধরে সম্পর্কের টানাপোড়েন, গর্ভস্থ সন্তানকে নিয়ে পাল পরিবারের মধ্যে অশান্তি ছিল এমনটাও আঁচ করছেন তদন্তকারীরা।