দেশ

তরুণী পশুচিকিত্‍সককে ধর্ষণের পর পোড়ানো হয়, অনুমান পুলিশের

হায়দরাবাদের বৃহস্পতিবার যে তরুণী পশুচিকিত্‍সকের দগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছিল, তাঁকে ২ জনে মিলে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে যাওয়ায় রাস্তার পাশের দোকানে তরুণী পশুচিকিত্‍সক ওই ২ জনের সাহায্য চেয়েছিলেন। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই ট্রাকচালককে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর সাইবারাবাদ পুলিশের অনুমান, ২৪ বছর বয়সীপশুচিকিত্‍সককে গত কাল খুন করা হয় হায়দরাবাদের অনতিদূরে মফস্‌সল এলাকা শামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে। পরে তরুণীর দেহটি ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরে চাতানপল্লি সেতুর কাছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ন’টায় টোল প্লাজায় ফিরে দেখেন তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে গিয়েছে। তখন দুই ট্রাকচালক তাঁকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। তরুণী যে টোল প্লাজার কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন, সেখান থেকে পুলিশ মৃতের জুতো, জামাকাপড় ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে। টোল প্লাজার কাছে একটি টায়ার সারানোর দোকানের মালিক পুলিশকে জানিয়েছেন, গত কাল সকাল সাড়ে ৯টা-১০টা নাগাদ ওই তরুণী তাঁর অচল স্কুটি নিয়ে আসেন দোকানে। পৌনে দশটা নাগাদ ওই তরুণীকে ফোনে তাঁর বোনের সঙ্গে কথা বলতে শুনেছিলেন টায়ারের দোকানের মালিক। এও শুনেছিলেন, তরুণী তাঁর বোনকে বলছেন, তাঁর স্কুটির টায়ার ফেটে গিয়েছে। সেটা সারানোর জন্য স্কুটিকে একটু দূরে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ”তবে তাঁর আশপাশে দুই ট্রাকচালক ঘুরঘুর করছে বলে তরুণী তাঁর আশঙ্কার কথাও ফোনে বোনকে জানিয়েছিলেন”, বলেছেন টায়ারের দোকানের মালিক।তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তরুণীর বোন পরামর্শ দিয়েছিলেন স্কুটি ছেড়ে টোল প্লাজার কাছে গিয়ে একটি ক্যাব ভাড়া করে বাড়ি ফিরে আসতে। পরে যখন তরুণীর বোন তাঁকে আবার ফোন করেন, তখন তাঁর মোবাইলটি বন্ধ করা ছিল। বেলা ১১টা নাগাদ তরুণীর পরিবারের তরফে থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। এই  ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব সবমহল। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।