জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় বিশ্ববিদ্যালের ক্যাম্পাসে পুলিশি লাঠিচার্জে উত্তপ্ত রাজধানী, আহত প্রায় ৬৩ জন পড়ুয়া
গতকাল বিকালে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে জামিয়ার পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। প্রতিবাদ আন্দোলন হিংসাত্মর চেহারা নিলে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিস। আহত হন বহু পড়ুয়া। অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালের ক্যাম্পাসে লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ুয়াদের ব্যাপক মারধর করে পুলিস। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। আহত হন প্রায় ৬৩ জন। শেষপর্যন্ত হাত উঁচু করে ক্যাম্পাস থেকে পড়ুয়াদের বের করে আনে পুলিস। আটক করা হয় কমপক্ষে ১০০ পড়ুয়াকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিসের এই তাণ্ডবের প্রতিবাদে রাতভর দিল্লি পুলিসের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যায়ের প্রোক্টর ওয়াসিম খান সংবাদমাধ্যমে জানান, বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর করেছে পুলিস। ক্যাম্পাসে
ঢোকার জন্য পুলিস বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু তাদের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্মীদের পেটানোর প্রতিবাদে দিল্লি পুলিসের সদর দফতর ঘেরাও করে ছাত্রারা। তাদের সঙ্গে ছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালের পড়ুয়ারাও। কমিশানারের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে ছাত্ররা। আটক পড়ুয়াদের মুক্তির দাবিতে পুলিসের ওপরে চাপ দিতে থাকে পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আটক পড়ুয়াদের মুক্তি দেয় পুলিস। অন্যদিকে, টুইটবার্তায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির জামিয়া, ওখলা ও নতুন ফ্রেন্ডস কলোনি এলাকা। তাই এই চত্বরের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত অশান্তি এড়াতেই এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে।