শ্রীনগর: দু’মাস গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন৷ ৫ অগস্টের পর রাতারাতি প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ‘প্রিভেনটিভ কাস্টডিতে’ নেওয়া হয়৷ তবে সম্প্রতি জম্মুতে ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস, জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল প্যানথরস পার্টির(জেকেএনপিপি) নেতাদের মুক্তি দেয় প্রশাসন৷ রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর মুক্তি পান ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা দেভেন্দর রানা, এসএস সালাথিয়া, কংগ্রেসের রমন ভল্লা, জেকেএনপিপি’র হর্ষদেব সিং প্রমুখ নেতারা৷যদিও বিরোধী দলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রীরা যেমন ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, সাজ্জাদ গানি লোহদের গৃহবন্দি দশা ঘোচেনি৷ তারা এখন কড়া পুলিশি প্রহরায় বাড়ির মধ্যে বন্দি হয়ে আছেন৷তবে রাজনৈতিক নেতারা গৃহবন্দি হয়ে আছেন তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং৷ তিনি জানান, কোনও নেতা গৃহবন্দি নেই৷ তাঁরা ‘হাউস গেস্ট’ হয়ে আসেন৷ তাঁদের সব রকমের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সরকার৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজনৈতিক নেতাদের ভিআইপি বাংলোতে রাখা হয়েছে৷ তারা হলিউড সিনেমার দেখছেন৷ বাংলোতে জিমের বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ তাই নেতারা গৃহবন্দি হয়ে আছেন এই যুক্তি খাটে না৷ তারা হাউস গেস্ট হয়ে আছেন৷’’একই কথা বলেন বিজেপি’র প্রথম সারির নেতা রাম মাধব৷ বলেন, ‘‘কাশ্মীরে ২০০ থেকে ২৫০ নেতাকে আটক করা হয়েছে৷ কিন্তু তাঁদের ফাইভ স্টার হোটেলের মতো পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে৷’’ আগে ২০০০ থেকে ২৫০০০ মানুষকে প্রিভেনটিভ ডিটেনশনে নেওয়া হয়েছিল৷ সেটা এখন কমতে কমতে ২৫০তে এসে দাঁড়িয়েছে৷ দাবি রাম মাধবের৷ তাঁর কথায়, এই ২৫০ মানুষকে আটক করে রাখা হয়েছে বলে কাশ্মীরে শান্তি বজায় রয়েছে৷ এতেই বোঝা যায়, কাশ্মীর কী চায় আর এই ২৫০ জন কী চায়৷