জেলা

পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

বনগাঁ: পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছিল স্ত্রী। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীস্ত্রীর মধ্যে চলছিল সাংসারিক অশান্তি। শেষ পর্যন্ত ঘটনার ইতি টানতে স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হল স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার জয়পুর এলাকায়।মৃত ওই দম্পতির নাম পার্থ প্রামানিক ও শ্যামলী প্রামানিক। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে গাইঘাটা থানার আংরাইল সীমান্তের যুবক পার্থর সাথে বিয়ে হয় শ্যামলীর। বিয়ের পর নিজের বাড়ি ছেরে স্ত্রীকে নিয়ে বনগাঁ থানার জয়পুর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকত পার্থ। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিল ওই যুবক। দুটি কন্যা সন্তান ও আছে ওই দম্পতির।সংসারে অভাবের তাড়নায় বিয়ের কয়েক বছর পর ভারতীয় জীবন বিমা সংস্থায় এজেন্টের কাজ নেয় শ্যামলী। স্বামী স্ত্রীর যৌথ রোজগারে ভালই চলছিল সংসার। এই পর্যন্ত সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু বাধ সাদলো পরকীয়া সম্পর্ক। এর জেরে স্ত্রীকে সন্দেহ করার পাশাপাশি মারধর ও গালিগালাজও করত পার্থ।এমনকি রোজ রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরত ওই যুবক। শুক্রবার ওই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় বলে অনুমান প্রতিবেশীদের। ওইদিন রাতে নিজের ঘরে স্ত্রী শ্যামলীকে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে খুন করে শ্বশুর বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয় ওই যুবক। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না দেওয়ায় পার্থর শাশুড়ি দেখতে পান ঘরেই খাটের ওপর পড়ে রয়েছে শ্যামলীর নিথর দেহ।খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। এরইমধ্যে শুক্রবার বেলায় প্রতিবেশিরা জানতে পারেন রেললাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে অভিযুক্ত পার্থও। এদিন বনগাঁ শিয়ালদহ রুটের চাদপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে বনগাঁ জিআরপি পুলিশ পার্থর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য। ঘটনায় দুই পরিবারে শোকের ছায়ার পাশাপাশি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।