রায়গঞ্জ: সামনে বিধানসভা ভোট। আর এই ভোটের কথা শিকেয় তুলে রাস্তায়ে গরু ধরতে ছুটছেন পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস সহ কাউন্সিলরগনরা। দু একটা ধরতে পারলেও চালাকি করে রাস্তায় শুয়ে পড়ছে গরুগুলো। কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না ভবঘুরে গরুদের।অগত্যা কি আর করা আপাতত বাতিল করতে হল গরু ধরা। বুধবার এমনই দৃশ্য উপভোগ করলেন রায়গঞ্জ শহরের রাজপথে মহাত্মা গান্ধী রোডে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। পুজোর সময় রায়গঞ্জের রাজপথে ভবঘুরে গরুদের সরাতে এবং তাদের সরকারি খোঁয়ারে রাখার উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভা।রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে কসবা মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে কয়েকশো গরু, ষাঁড় ঘুরে বেড়ায়। গরুগুলিকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ বন্দর শ্নশ্মানে নির্মিত সরকারি খোঁয়ারে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়।মহাত্মা গান্ধী রোড, নেতাজী সুভাষ রোড, বিধান সরনী এলাকায় রাস্তার উপরেই গরুগুলি শুয়ে বসে থাকে বা ঘুরে বেড়ায়।বুধবার সকাল থেকে রায়গঞ্জ শহরের মহাত্মা গান্ধী রোড, নেতাজী সুভাষ রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরু সরিয়ে সাধারন মানুষ ও যানবাহনের চলাচলে সুবিধা করে দিতে পুরসভার এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বরুন বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সাধন বর্মন সহ পুরসভার কর্মীরা রায়গঞ্জের রাজপথে নেমে গরু ধরার কাজ শুরু করেন। এরফলে এইসব রাস্তাগুলোতে গরুর কারণে যানজট থেকে শুরু করে পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পথচারী থেকে রাস্তায় থাকা গরুগুলিও আহত হয়।পুর এলাকার বাসিন্দারা এই বিষয় নিয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। পুর বাসিন্দাদের আবেদন শুনে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভা বুধবার রায়গঞ্জের রাজপথ জুড়ে থাকা ভবঘুরে গরুগুলো সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু উদ্যোগ সফল করা আর গেল না।