কলকাতাঃ ফের একপ্রস্থ নাটক। এবার সিআইডি দফতরে। রাজীব কুমারের খোঁজে ভবানী ভবনে শনিবার যায় সিবিআইয়ের পাঁচ কর্তা। সেখানে সিআইডি’র কর্তারা সিবিআই আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে বাধা দেয় বলে সূত্রের খবর। যদিও সিআইডির আইজি পদমর্যাদার এক অফিসারকে একটি চিঠি দিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। রাজীবের বিষয়ে জানতেই সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এদিন ফের রাজীব কুমারের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন প্রথমে তদন্তকারীরা রিসেপশনে জিজ্ঞেস করেন এডিজি সিআইডি কোথায়? তবে সেখানে জবাব না মেলায় কাউকে তোয়াক্কা না করেই সটান তিন তলায় সিআইডির সদর দফতরে উঠে যান তাঁরা। রাজীব কুমারের খোঁজে দিল্লি থেকে সম্প্রতি শহরে এসেছে বেশ কয়েকজন সিবিআই কর্তা। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে সোজা ভবানী ভবনে যান তদন্তকারীরা। রিসেপশনে কর্মরত রাজ্য পুলিসের কনস্টেবলের কাছে রাজীব কুমারের বিষয়ে জানতে চান তদন্তকারীরা। ওই কনস্টেবল বলেন তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। ফের গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, কোন ফ্লোরে সিআইডির দফতর? এরপর ভিআইপি লিফটে চেপে সিআইডির দফতরে সোজা পৌঁছে যায় ওই টিম।এদিকে, সারদা মামলায় অভিযুক্ত রাজীব কুমারের হদিশ না পেয়ে ক্রমশই নোটিসের পর নোটিস পাঠাতে শুরু করেছেন সিবিআই কর্তারা। এবার রাজীব কুমারের বাসভবন ৩৪ নং পার্ক স্ট্রিটের বাড়ির সমস্ত কর্মীকে নোটিস ধরালো সিবিআই। মূলত রাজীবের অবস্থান কোথায় তা জানতেই এই নোটিস বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ ছুটিতে থাকলেও বাড়ির কর্তা কোথায় যান, কোন লোকের যাতায়াত থাকে ঘরে সেই ধরনের তথ্য পেলে রাজীবকে আরও নাগালে পেতে সমর্থ হবে সিবিআই। অন্যদিকে, সিআইডি কর্তাদের কাছেও রাজীব সংক্রান্ত মোবাইল নম্বরের বিষয়ে এদিনও জানতে চেয়েছে সিবিআই। দিন পার হয়ে চলেছে। অথচ রাজীবের টিকি খুঁজে পেতে গলদঘর্ম পরিস্থিতি দেশের এলিট ক্লাস গোয়েন্দাদের। যা নিয়ে সিবিআইয়েরই প্রাক্তন কর্তারা বলছেন, এটাও একধরনের ব্যর্থতা সিবিআইয়ের।