এবার ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে ক্রমে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্য বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর। গোটা দেশের ৭১ শতাংশ ভুখণ্ড গেরুয়া শিবিরের দখলে। দেশের মোট ২১টি রাজ্যে হয় বিজেপি, নাহয় বিজেপির জোটসঙ্গীদের সরকার ছিল। ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর আমলে দেশে কোনও দল এতটা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। যদিও বিজেপির দাবি, তাঁদের আধিপত্য ইন্দিরার আমলের কংগ্রেসকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ হেন গেরুয়া শিবির রাজ্যস্তরে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। একসময় যারা গোটা দেশের ৭১ শতাংশ শাসন করত, তাঁরা এখন শাসন করছে মাত্র ৪০ শতাংশ। যেটিতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বিজেপির শাসন ক্ষমতায় ছিল প্রায় ১৯টি রাজ্যে। আর ২০১৯ সালের নভেম্বরে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৪। তার মধ্যে ভারতের বড় রাজ্যগুলির একটিও বিজেপির ক্ষমতাধীন নেই, একমাত্র উত্তরপ্রদেশ আছে। উত্তর পূর্ব ভারতের ছোট ছোট রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কিন্তু তাতে রাজনৈতিক কোনও সুবিধা পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ। আর সেই জন্যই লোকে বলছে, বিজেপির বুঝি শেষের শুরু হয়েছে ধীরে ধীরে। আর সেই শেষ হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় ক্ষমতার লোভে হয়ত আন্দাজ করতে পারেনি বিজেপি। কেউ কেউ আবার অন্য কথাও বলছেন। মোদি ছাড়া আর কোনও মুখ বিজেপির নেই। তাই রাজ্য স্তরে বিজেপিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন অনেক স্থানীয় দলের নেতারাই। দিন যত গড়াচ্ছে, তত আঞ্চলিক দলগুলির শক্তি বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যদি আঞ্চলিক স্তরে বিজেপি আরও নতুন নেতৃত্ব তুলে না আনতে পারে, তাহলে আরও রাজ্য হারানোর সম্ভাবনা থেকে যাবে বিজেপির। গতকাল মহারাষ্ট্র নাটকের যবনিকা পতনের পর শিবসেনার সেনাপতি সঞ্জয় রাউত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘মহারাষ্ট্র পরিবর্তনের সূচনা। দেশকে নতুন পথ দেখাবে এই রাজ্য। বিজেপি চেয়েছিল শিবসেনাকে থামাতে, কিন্তু বিরোধীরা একজোট হওয়ায় তা ব্যর্থ হয়েছে।’ ছবি: সংগৃহীত