দেশ

মূল্যবৃদ্ধি রুখতে নয়া পদক্ষেপ, বন্ধ করা হল পিঁয়াজের রপ্তানি

নয়াদিল্লিঃ পিঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে জল আসা নতুন কিছু নয়। কিন্তু, এবার পিঁয়াজ কিনতে গিয়েও চোখে জল আসছে। পকেটে যে হারে টান পড়ছে তাতে চোখে জল আসাটাই হয়তো স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষের এই পিঁয়াজ কষ্ট রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। সমস্তরকম পিঁয়াজের রপ্তনিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।অন্যান্য বছরও এই সময় সাধারণত পিঁয়াজের দাম বেশিই থাকে। তবে, এবারের মূল্যবৃদ্ধি অত্যাধিক। গতবছর পিঁয়াজের উৎপাদন যে খুব কম হয়েছে তা নয়। মূলত, কর্ণাটক, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, বাংলায় পিঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়। গতবছর এই রাজ্যগুলিতে পিঁয়াজের দাম না মেলায় কৃষকদের আত্মহত্যার খবরও মিলেছে। এখানেই প্রশ্ন হচ্ছে পিঁয়াজের দাম যেখানে ১ টাকারও কম ছিল, সেখানে এ বছর এত বেশি দাম কেন? কোথাও না কোথাও মধ্যস্বত্বভূগীরা ফায়দা তুলছে, তা স্পষ্ট। এখানেই প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকা নিয়ে।তাছাড়া, এবছর সার্বিকভাবেই অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়। মুদ্রাস্ফীতিও বাড়ছে। ক্রমশ বাড়ছে তেলের দামও। ডলারের তুলনায় টাকার দামও কমছে। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে বাজারে। প্রায় সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীরই দাম বাড়ছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে পিঁয়াজের উপর। দেশের অধিকাংশ শহরেই পিঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার আশেপাশে। এই জ্বালা থেকে উদ্ধার করতে এবার পিঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র। রবিবার কেন্দ্রের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পিঁয়াজের যাবতীয় রপ্তানিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে আরও একটি পদক্ষেপ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। মজুদ থাকা ৫০ হাজার টন পিঁয়াজ বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কিছুটা হলেও গ্রাহকরা স্বস্তি পাওয়া যাবে বলে ধারণা প্রশাসনের।