কলকাতা: পুরোপুরি বন্ধ হল রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো। মঙ্গলবার জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ দেয়, রবীন্দ্র সরোবরে আর ছট নয়। বরং তার বদলে কলকাতার অন্য ১০টি পুকুরে ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।ছটপুজোর জন্য শহরের ১০টি পুকুরকে চিহ্নিত করেছে কেএমডিএ। যোধপুর পার্ক জলাশয়, রামধন পার্ক, গোবিন্দন কুট্টি, মাদুরতলা ঝিল, নোনাডাঙা ৩ নম্বর ঘাট, নববৃন্দাবন ঝিল, ১০ নম্বর পুকুর, লালকা পুকুর, কাটজু নগর পুকুর ও রুবি হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী জলাশয়কে ছট পুজোর আচার পালনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ছট পুজোর জন্য এই পুকুরগুলিতে কেএমডিএ-র তরফে আলো, শৌচালয় ও জামাকাপড় বদলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহল করতে ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।কেউ যাতে ভুল করে ছটপুজোর দিন রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে না যান তার জন্য সেদিন সরোবরের দায়িত্বে মোতায়েন থাকবে কলকাতা পুলিশ। সরোবরে প্রবেশের যে ক’টি গেট রয়েছে সেদিন সমস্ত গেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এদিকে এসবের ফলে যাতে হিন্দিভাষী মানুষদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, সেই ব্যাপারেও সচেষ্ট কেএমডিএ। অন্যদিকে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো বন্ধ নিয়ে আপত্তি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। রবীন্দ্র সরোবরে ছট বন্ধের পিছনে দিল্লির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, দিল্লির নির্দেশেই এবার রবীন্দ্র সরোবরে ছট বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। পরিবেশ আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি আগেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট বন্ধের সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট সহ যে কোনও পুজো-পার্বণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। কিন্তু তারপরেও গত দু’বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পালন হয়। আর তারপরই বিতর্কের মুখে পড়ে কেএমডিএ। শেষমেশ এবার রবীন্দ্র সরোবরে সম্পূর্ণরূপে ছট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কেএমডিএ।
