🔴চালু হল মোবাইল অ্যাপ ‘সন্ধানে’, রাজ্যে কোথায় কোরোনা আক্রান্ত আছে জানাবে এই অ্যাপ
🔴ট্রেড লাইসেন্স রিনিউর সময় মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হল
🔴৫৬২টি সরকারি কোয়ারান্টাইন রাজ্যে। 🔴 মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প বানাবে কাপড়ের মাস্ক
🔴জরুরি পরিষেবায় ট্যাক্সিতে ছাড়। হোম ডেলিভারির জন্য় সরকারি কিছু ট্য়াক্সিকে নামাবে।
🔴চা বাগান খোলার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতাঃ করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে বঙ্গবাসীর দিনযাপন সচল রাখতে আরও একাধিক পদক্ষেপ করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানালেন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। পরিবহণ, পর্যটন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যবসায়ীরা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘দিদি, ভাইরাস চলে যাওয়ার পর মন্দার রাক্ষসনিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চা বাগান চালানো যেতে পারে। তবে তা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চা পাতা এখন না তুললে পরের বছর আর ফলন হবে না। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই বাগান চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, যে সব শিল্প কারখানা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সঙ্গে যুক্ত, সেইসব কারখানা মোট শ্রমিকের ৫০ শতাংশ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারে। প্রত্যেক শ্রমিকেরজন্য স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থাও করতে হবে বলে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওষুধ ব্যবসায়ীদের তরফে বলা হয়, বাংলায় ওষুধের কোনও অভাব নেই। তাই কেউ যেন আতঙ্কিত হয়ে বেশি বেশি করে ওষুধ না কেনেন। ওই সংগঠনের প্রতিনিধির কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান বাংলায় যারা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি করত তাদের কী অবস্থা। তিনি জানান, সিআর ল্যাবরেটরি আর বেঙ্গল কেমিক্যাল একটা সময় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি করত। এখন আর করে না। মুখ্যমন্ত্রী ওই প্রতিনিধিকে কথা বলতে বলেন, কী করলে ফের বাংলায় ওই উত্পাদন শুরু করা যাবে। কোনও এলাকায় কারও জ্বর-সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে সেই তথ্য সরকারের কাছে যাতে দ্রুত পৌঁছয় তার জন্য মোবাইল অ্যাপ তৈরি করল রাজ্য। এছাড়া ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউর সময় মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা না মিটলে অনলাইনে লাইসেন্স রিনিউ করারও ব্যবস্থা করবে সরকার। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে চা বাগান খোলার জন্য অ্যাডভাইজারি পাঠিয়েছিল। নবান্ন সভাঘরে ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সন্ধানে’ নামের ওই অ্যাপ নিজেদের মোবাইলে ইনস্টল করবেন আশা কর্মীরা। তারপর যাঁর জ্বর বা অন্য উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাঁর নাম-ঠিকানা লিখে ডিজিটালি স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পাঠিয়ে দেবেন তাঁরা। তা পাওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতর সংশ্লিষ্ট এলাকার মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে অসুস্থ ব্যক্তির বাড়িতে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠাবে। তাঁরা গিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ওই ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে নাকি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হবে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ জন বাড়ল। বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭১। বৃহস্পতিবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৮৩ জন। আজ নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে ৮০ জন সক্রিয় (অ্যাক্টিভ) করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। ৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন।