সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ ৷ রবিবার ভোর রাতে মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে থানে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে হামলাকারীকে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, হিরানন্দানি কর্মী শিবিরের কাছে লুকিয়ে ছিল সে ৷ সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, আত্মগোপনের জন্য একাধিক নাম ব্যবহার করে অভিযুক্ত ৷ পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম ৷ যদিও গ্রেফতারের সময় নিজেকে বিজয় দাস বলে পরিচয় দেয় সে ৷ পুলিশের অনুমান, ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ৷ গ্রেফতারের পর তাকে খার থানায় হেফাজতে রাখা হয় ৷ জোন 9-এর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দীক্ষিত গেডাম সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ধৃতের কাছে ভারতীয় হিসেবে বৈধ কোনও নথি নেই ৷ তবে তার কাছে এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, যা তার বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে ৷ ভারতে অনুপ্রেবেশের পর নিজের নাম বদলে বিজয় দাস করে নেয় সে ৷ গত 5-6 মাস আগেই মুম্বই এসেছে ৷ প্রথমে বেশ কয়েকদিন মুম্বইয়েও ছিল ৷ এরপর সেখান থেকে চলে আসে ৷” ডিসিপি আরও জানান, সইফের বাড়িতে মূলত চুরির উদ্দেশ্য়েই ঢুকেছিল সে ৷ তাকে দ্রুত আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের দাবি জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেছেন, পুলিশের কাছে এমন কোনও নথি নেই, যাতে প্রমাণিত হয় সে বাংলাদেশের বাসিন্দা ৷ রবিবার ভোররাতে গ্রেফতারের পর তাকে মুম্বইয়ের বান্দ্রা হলিডে কোর্টে পেশ করা হয় ৷ আদালত তাকে 5 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ মুম্বই পুলিশের বাংলাদেশি তত্ত্ব খারিজ করে অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের আইনজীবী দীনেশ প্রজাপতি বলেন, “পুলিশ যে প্রমাণের ভিত্তিতে তার (অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ) হেফাজত চেয়েছে, তা যথেষ্ট নয় ৷ সে যে বাংলাদেশি নাগরিক, তার সমর্থনে পুলিশ কোনও তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ৷ আদালত তাকে 5 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷” অভিযুক্তের তরফে আরেক আইনজীবী সন্দীপ শেখানে বলেন, “প্রথমত, সইফ আলি খান কখনও এমন কোনও বিবৃতি দেননি, যাতে বাংলাদেশ বা বিশ্বের অন্য কোনও দেশ তাঁর জীবনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ৷ তাঁর কোনও আন্তর্জাতিক মামলা নেই ৷ পুলিশ বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে ৷ সে আগে বাংলাদেশে থাকত ৷ কিন্তু এখন থাকে না ৷ পুলিশ বলছে গত 6 মাস ধরে সে মুম্বইয়ে রয়েছে ৷ এটা মিথ্যা ৷ তার পরিবার 7 বছর ধরে মুম্বইয়ে রয়েছে ৷ এই ঘটনায় ঠিকঠাক তদন্ত হচ্ছে না ৷” তিনিও জোর দিয়ে জানান, পুলিশের কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে অভিযুক্ত শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক ৷