দিনহাটা: সাবেক ছিটমহলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবিদের। শনিবার কোচবিহার জেলার দিনহাটার করোলা নামক ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন তারা। তবে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলেই বাধা দেয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। আর এতেই বেজায় রেগে গিয়েছেন বুদ্ধিজীবিরা। নিজের দেশে গণ্ডীর ভিতর কেন কেউ অনায়াসে যাতাযাত করতে পারবেন না? প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে সরব হন অপর্ণা-বোলানরা।কেন ঢুকতে দেওয়া হল না? প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী তথা বুদ্ধিজীবী মহলের অন্যতম মুখ অপর্ণা সেন। তাঁর বক্তব্য, এই জায়গা তো ভারতের মধ্যেই পড়ছে, একজন নাগরিক নিজের দেশের যে কোনও জায়গায় ইচ্ছেমতো যেতে পারেন। দেশের স্পর্শকাতর কিছু এলাকায় অবশ্য শর্তসাপেক্ষে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, কিন্তু এক্ষেত্রে সেরকম কোনও সমস্যা না থাকলেও কেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা বাধা দিলেন? যদিও সেই বিষয়ে বিএসএফের তরফে খোলসা করে কিছুই বলা হয়নি। তবে সূত্রের দাবি, মূলত নিরাপত্তার কারণেই কাঁটাতারের ওপারে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি।শনিবার বেলা নাগাদ বেশ কজন বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে অপর্ণা সেন গিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে। রেশন কার্ড কিংবা একটা মানুষের যে বেঁচে থাকার জন্য জল-আলো-খাবারের মতো নানান প্রাথমিক চাহিদা থাকে, সেগুলো পেতে সেখানকার বাসিন্দাদের কোনও অসুবিধে হচ্ছে কি না, সেসব খোঁজ নিতেই মূলত তাঁরা গিয়েছিলেন দিনহাটার করোলা ছিটমহলে। তবে বিএসএফদের দ্বারা বাঁধাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রতিবাদে সরব হন অপর্ণা-বোলানরা।অপর্ণা সেনের কথায়, ‘ওঁদের ১৪ পুরুষ ভারতে আছে। ওঁরা মনে প্রাণে ভারতবাসী। খালি ওঁদের এই ছোট্ট দাবিটা মেনে নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। কাঁটাতার ৫০০ গজ দূরে রয়েছে, সেটা ১৫০ গজ করলেই তো এই মানুষগুলোর কষ্টটা একটু কমে।’অপর্ণা সেনের কথায়, ‘ওঁদের ১৪ পুরুষ ভারতে আছে। ওঁরা মনে প্রাণে ভারতবাসী। খালি ওঁদের এই ছোট্ট দাবিটা মেনে নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। কাঁটাতার ৫০০ গজ দূরে রয়েছে, সেটা ১৫০ গজ করলেই তো এই মানুষগুলোর কষ্টটা একটু কমে।’মাসুম নামে একটি সংগঠন মানবাধিকার সংক্রান্ত কাজ করে। তারাই অপর্ণা সেন, সাহিত্যিক বোলান গঙ্গোপাধ্যায়দের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সাবেক ছিটমহলে। তাঁদের মাধ্যমে সমস্যার কথা সব মহলে পৌঁছে দেওয়াই ছিল এনজিটির লক্ষ্য।