জেলা

৪১৯ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করল হাওড়া পুরসভা

হাওড়া: চুক্তির ভিত্তিতে নেওয়া ৪১৯ জন কর্মচারীকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার আদেশ ঘিরে উত্তেজনা। সোমবার হাওড়া পুরসভার ঘটনা।চলতি বছর আগস্ট মাসে প্রশাসনিক বৈঠকে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কার্যত বেআইনি বললেও বিষয়টি দেখে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী।তারপরেও সপ্তাহের প্রথম দিনে হাওড়া পুরসভার চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীকে এদিন থেকেই বসিয়ে দেওয়া হল। এরফলে স্বভাবতই কর্মহীন হয়ে পড়লেন ৪১৯ জন কর্মচারী। সকালেই পুরসভার প্রত্যেক দফতরে এই মর্মে আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৪১৯ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে তৎকালীন তৃণমূল পুরবোর্ড। তখন থেকেই সেই নিয়োগ নিয়ে শুরু হয় সমস্যা।কাজে যোগ দেওয়ার পর এই কর্মীরা দীর্ঘদিন তাঁদের বেতন পাননি। মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে বারংবার সরকারের বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করতে থাকেন তাঁরা। অবশেষে প্রশাসনিক বৈঠকে মূখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো এই বছরের জুন মাস থেকে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া শুরু হয়।একেতো ১২মাস কাজ করে মাত্র ৪ মাসের বেতন। তারপর এদিন চাকরি শেষের নোটিশ হাতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই মুষড়ে পড়েছেন সকলে।এপ্রসঙ্গে হাওড়া পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, সরকারি নির্দেশ পেয়েছি। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত বেতন দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই অস্থায়ী কর্মীদের সাথে ১ বছরের চুক্তি ছিল। গত বছরের অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া সেই চুক্তি এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়েছে।তিনি আরও জানান, বকেয়া অর্থ সরকারি নিয়ম মোতাবেক দেওয়া হবে। গত আগস্ট মাসের ২৭ তারিখে হাওড়া পুরসভাকে একটি আদেশ দেয় নবান্ন। তার আগে ১৩ আগস্ট নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন।এদিন পুরভবনে আসেন বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র। তিনি বলেন, পুরসভার কাজ দেখভালের জন্য পুরসভায় বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর গঠিত হয়েছে। সুতরাং, ৪১৯জনের বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত, তা একক কেউ জানাতে পারেন না। প্রশাসকমণ্ডলীই তা জানাতে পারেন।