নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি সমর্থন করেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই সেই বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। বিল আইনে পরিণত হয়েছে। আর ঠিক তারপরই শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মেলালেন অন্য পাঁচটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। কেন্দ্রের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের চরম বিরোধিতা করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। বুধবার সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার আগেই মমতা ব্যানার্জি এই বিলের বিরোধিতা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘এই বিলটি নিয়ে ভয় পাবেন না। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। যতক্ষণ আমরা এখানে আছি ততক্ষণ কেউ আপনাদের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারবে না।’ এই বিলটির বিরোধিতা করার পাশাপাশি এনআরসির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশের সংখ্যালঘুদের বিপাকে ফেলতেই সুপরিকল্পিত চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র বিরোধী, মন্তব্য করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের রাজ্যে এইরকম অসাংবিধানিক আইনের কোনও স্থান নেই। ভারতের সংবিধান ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতি, লিঙ্গ বা পেশা নির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয়ের নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা দেয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সেই অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদক্ষেপ আসলে সংবিধানকে অসম্মান করা।’ পাশাপাশি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বলেন, ‘পাঞ্জাবে অসাংবিধানিক আইন কার্যকর করা হবে না। এই আইন মানুষের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করবে। কোনও আইন যা দেশের জনগণকে ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভক্ত করতে চায় তা অবৈধ এবং অনৈতিক।’