আলিপুরদুয়ার: প্রতিবেশী রাজ্য অসমের এনআরসির প্রভাব পড়েছে আলিপুদুয়ারে। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষেরও বেশি নাগরিকের নাম। এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব ভারতের নানা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।এনআরসির কারণে আলিপুরদুয়ারে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে অনেকদিন ধরেই সাধারণ মানুষের দাবি ছিল। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা আলিপুরদুয়ার। সেখানে এনআরসির প্রভাব সবচেয়ে বেশি।অসমের বরপেটা, কোকরাঝাড় ইত্যাদি অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পেশার টানে প্রায়ই যাতায়াত করেন আলিপুরদুয়ার জেলার নানা জনপদে। অনেকের নাম নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত। সাধারণ মানুষের জীবন যাপন থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক দিকেও এনআরসির প্রভাব পড়েছে। এই প্রভাব কী করে কাটিয়ে ওঠা যায় সেই নিয়ে এবার আলোচনায় বসল উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্ব।রবিবার আলিপুরদুয়ারে হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মিটিং। প্রভাব মোকাবেলার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গৌতম দেব, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, কোর কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান সাংসদ শান্তা ছেত্রী, জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা এবং আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। বৈঠকে, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি জেলার তৃণমূল কর্মীরাও যোগ দেন। আলিপুরদুয়ার জেলা অসমের সীমান্তবর্তী হওয়ার ফলে এনআরসির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই উদ্দেশ্যেই এই বৈঠক। এর জন্য নানা রকম আলোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “যেভাবেই হোক এ রাজ্যে এনআরসি চালু করতে দেওয়া যাবে না।”