ঝাড়খণ্ডঃ গোমাংস বিক্রির সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও দু’জন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বছর চৌত্রিশের ওই যুবক ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার বাসিন্দা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনি দোকানে গোমাংস বিক্রি করছিলেন। এই খবর স্থানীয়দের মুখে মুখে প্রায় গোটা এলাকায় চাউর হয়ে যায়। তারপরই গ্রামবাসীরা ওই এলাকায় জড়ো হয়ে যান। ওই যুবক কোন ধরনের মাংস বিক্রি করেন, সে কথা জিজ্ঞাসা করেন সকলে। আচমকা ঘিরে ধরে জেরায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই যুবক। অসংলগ্ন উত্তর দিতে থাকেন তিনি। এরপরই গ্রামবাসীরা তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। ওই যুবককে বাঁচাতে যান আরও দু’জন। দীর্ঘক্ষণ ধরে মারধরের জেরে ঘটনাস্থলে প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়েন প্রত্যেকে। খবর পৌঁছায় পুলিশের কাছে। মুহূর্তের মধ্যেই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রত্যেককে উদ্ধার করে রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় একজনের।পুলিশ আধিকারিক এভি হোমকার বলেন, “সকাল দশটা নাগাদ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পাই গোমাংস বিক্রি করছেন এক যুবক। তাতেই রেগে আগুন হয়ে যান স্থানীয়রা। তারা তাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করছে শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই।” এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।