কলকাতাঃ এক মাস পাঁচ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার রেল প্রতারণা মামলায় হাজিরা দিতে থানায় গেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সোমবার দুপুরে তিনি ঠাকুরপুকুর থানায় পৌঁছন। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর মুকুলবাবুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। এ দিন ফের তাঁকে থানায় যাওয়ার নোটিস পাঠানো হয় এবং পৌঁছে যান প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। এর আগে তাঁকে সরশুনা থানায় তলব করা হলেও এদিন যেতে বলা হয় ঠাকুরপুকুরে।এই মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পেয়েছেন মুকুলবাবু। আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশ, এই মামলায় আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মুকুলবাবুকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু পুলিশ যদি মনে করে তাহলে মুকুলবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। রাজ্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলেও সেই নোটিস পাঠাতে হবে অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে।রেলের কমিটিতে জায়গা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দফায় দফায় মোট ৪০ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বাবান ঘোষ। গত ২১ অগস্ট বেহালার সরশুনা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ‘প্রতারিত’ ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, মুকুল রায়ের নাম করে এসেই দফায় দফায় টাকা তুলেছেন বাবান।ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, বাবান এসে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, এখন বিজেপির সরকার রয়েছে দিল্লিতে। মুকুল রায় ছিলেন রেলমন্ত্রী। তিনিও এখন বিজেপি-তে। ফলে রেলের অনেক কিছু এখনও মুকুলবাবু নিয়ন্ত্রণ করেন। বিশ্বাস করেই তিনি বাবানকে টাকা দিয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।মুকুল শিবিরের বক্তব্য, দাদাকে নাজেহাল করতেই এই মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং সবটাই হয়েছে তৃণমূলের মদতে। এর আগে রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা মামলায় মুকুল রায়ের শ্যালককে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রেহাই দিয়েছে মুকুলবাবুকে।