ত্রিপুরার সিধাই থানার মোহনপুরের রাঙাছড়িতে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হল এক যুবতীকে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, দরিদ্র পরিবারের ২২ বছরের ওই যুবতী বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর পরিবার থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিল। প্রথমে পুলিশ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটিকে আমল দিতে চায়নি। পরে সক্রিয় হয় পুলিশ। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ধানখেতের মধ্যে থেকে ওই তরুণীর আধপোড়া দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পোশাকের অংশ দেখে তাঁকে চিহ্নিত করে বাড়ির লোকজন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য কিছু কাগজপত্র জেরক্স করাতে বিকেল পাঁচটা নাগাদ মোহনপুর বাজারে গিয়েছিলেন সদ্য কলেজ পাস করা ওই তরুণী। কাজ সেরে নিজের পাড়ার বাসিন্দা সৌরভ পালের গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ধে পেরিয়ে গভীর রাত হলেও সে বাড়িতে না ফেরায় মেয়েকে বারবার ফোন করেন মা। মেয়ের বদলে ফোনটি রিসিভ করেছিলেন একজন অপরিচিত পুরুষ। তিনি প্রথমে নিজের পরিচয় দিতে না চাইলেও পরে জানায়, তার নাম রিপন দেব। তার বাড়ি তারাপুর এলাকায়। পরে ওই এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে ওই নামের কাউকে পায়নি তাঁর বাড়ির লোকজন। এই অবস্থায় তরুণীর এক বান্ধবীর মাধ্যমে তাঁর বাড়ির সদস্যরা জানতে পারেন, তরুণীর ফোনটি গাড়ির চালক সৌরভ পালের কাছে রয়েছে। সৌরভ ফোনটি থাকার কথা স্বীকার করে নেয়। কিন্তু ওই তরুণী ঠিক কোথায় রয়েছে তা সে জানাতে পারেনি। কেন সে ফোনটি রেখেছিল তা-ও সে জানায়নি। উল্টে মোবাইল ফেরত দেওয়ার সময় তরুণীর বাড়ির লোকদের সঙ্গে সে অভদ্র আচরণ করেন বলে অভিযোগ। রাতে গোটা ঘটনাটি থানায় লিখিতভাবে জানায় যুবতীর পরিবার। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি চালানো ও তদন্তের ব্যাপারে বেশ গড়িমসি করে বলে অভিযোগ।