দেশ

ত্রিপুরায় শাসক বিজেপির ১৩ শতাংশ ভোট ছিনিয়ে চমক সিপিএমের

আগরতলা: হিসেবের খাতায় বাধারঘাট কেন্দ্র ফের বিজেপির দখলের, কিন্তু সরকারের কপালে বিরাট পরিমান ভোট হারানোর কুঞ্চন। গত বিধানসভা, লোকসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে ক্রমাগত রক্তক্ষরণের পর এই প্রথম সিপিএম ভোট শতাংশে বিজেপিকে টক্কর দিয়ে ফেলল।উপ নির্বাচনের ফলাফলে কড়া লড়াই দেখা যাচ্ছে বাধারঘাট কেন্দ্রে। ৫০০০ এর কিছু ভোটে জয়ের কাছাকাছি শাসক বিজেপির মিমি মজুমদার।নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের বুল্টি বিশ্বাস। লক্ষণীয় ঘটনা, উপ নির্বাচনে এই কেন্দ্রে এক ধাক্কায় ১৩ শতাংশের বেশি ভোট কমে গিয়েছে বিজেপির।১৯৮৮ সাল থেকে বারবার বাম বিরোধী বাধারঘাট বিধানসভা। ত্রিপুরায় বামেদের টানা দু দশকের শাসনেও এখান থেকে জয়ী হতেন কংগ্রেস প্রার্থী দিলীপ সরকার গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যান।সেই দিলীপ সরকারকেই পুনরায় জেতান বাধারঘাটবাসী। তাঁর প্রয়াণের পরে উপনির্বাচনে বিজেপি জিতলেও ভোট খুইয়ে চিন্তিত। তবে বাম বিরোধী চরিত্র বজায় রেখেছে এই কেন্দ্র।নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিজেপি প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তির হার নেমেছে। ৫৮ শতাংশ থেকে কমে গিয়ে তিনি পেয়েছেন, ৪৫.২৫ শতাংশ। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিএম প্রার্থীর ভোট ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩.৫৯ শতাংশ। প্রায় ১৩ শতাংশের বেশি তিনি ছিনিয়ে নিতে পেরেছেন।কংগ্রেস প্রার্থী রতন দাস পেয়েছেন ৯ হাজারের কিছু বেশি ভোট। বস্তুত কংগ্রেসের পকেট ভোটেই নির্ধারিত হয়েছে বাধারঘাট কেন্দ্রের ফলাফল।