মালদহ ও জলপাইগুড়ি : পুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন বাকি। সারা রাজ্যজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। আর এত আনন্দের মাঝে নতুন করে আবার বন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মালদহ জেলায়।সূত্রের খবর, মালদহ জেলাতে পুজোর মুখে নতুন করে আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে আবার নতুন করে জল বাড়ছে মালদহ জেলার প্রধান তিনটি নদী গঙ্গা,ফুলহর এবং মহানন্দায়। যার জেরে মালদহ জেলার নদী তীরবর্তী অসংরক্ষিত অঞ্চলগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, ফুলহার নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।ফলে নতুন করে আবার জল ঢুকতে শুরু করেছে মালদার মানিকচক ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে।জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত বর্ষা এবং বাঁধের জল ছাড়ার কারনে হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকেরও নদীতীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে আবার নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। এদিকে মালদহ জেলার নদীগুলোর বৈষ্ণবনগর ব্লকের পারলালপুর,পারদেওনাপুর সহ একাধিক এলাকা ভাঙনের কবলে।গঙ্গার পাশাপাশি ফুলহার নদীতেও জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। গঙ্গা ও ফুলহারের নদীতীরবর্তী এলাকায় জল ঢুকছে। মূলত ফুলহার নদীর জলে হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়া ব্লকের নদীতীরবর্তী প্রায় আটটি গ্রামে জল ঢুকেছে। যারফলে জলবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় নয় হাজার পরিবার। মানিকচক ব্লকের নদীতীরবর্তী এলাকা ছাড়াও নতুন করে জল ঢুকছে ইংরেজবাজার ব্লকের খাসখোল এলাকায়। কালিয়াচক ৩নং ব্লকের শোভাপুর পারদেওনাপুর গ্রামের বাসিন্দাদের বিপদ বাড়িয়েছে গঙ্গার জলবৃদ্ধি।জেলা জুড়ে প্রায় ৫০হাজারের বেশী বাসিন্দা জলবন্দি বলে খবর জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে তাদেরকে তুলনামূলক উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। তবে নদীর জলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমির ফসল। জানা গিয়েছে এই বন্যার ফলে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল ক্ষতির মুখে। যার জেরে কার্যত পুজোর মুখে মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে হালকা ঠান্ডা হাওয়া এবং মেঘের গর্জন। যার জেরে পুজোর মুখে আকাশের এমন অবস্থা দেখে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে জেলা জুড়ে ছোট বড় পুজো কমিটি গুলির। লাগাতার বর্ষণে মণ্ডপ তৈরির কাজ অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা।