হক জাফর ইমাম, মালদাঃ শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল পরিচালিত পুরাতন মালদা পুরসভার বিরুদ্ধে পুর পরিষেবা সহ কাটমানি নিয়ে অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি। পুরাতন মালদহ পুরসভায় এদিন বিজেপি নেতারা অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি পুরপ্রধানকে আট দফা দাবি নিয়ে স্মারক লিপি দেন বিজেপি নেতারা। আর বিজেপির কর্মসূচীকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয় পুরাতন মালদহ পুরসভা ভবন চত্বরে।এদিন দুপুর ১২টা থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয় বিজেপির। পুরসভার ১০০ মিটারের মধ্যে মঞ্চ বেধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। এদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র, যুব মোর্চার রাজ্য নেতা, পুরাতন মালদহের নগর সভাপতি চন্দর দে সহ একাধিক নেতৃত্ব। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে অবস্থান বিক্ষোভ। চন্দন দে বলেন, “পুরাতন মালদহ পুরসভা কর্তৃপক্ষ শহরবাসীর কাছ থেকে জলকর আদায় করছেন। অথচ, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে ক্ষমতায় এসে পুরসভা গুলিতে জলকর না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি, বহু পুরসভায় জলকর নেওয়া হচ্ছে না। তবু এই পুরসভা শহরবাসীর কাছ থেকে জলকর আদায় করছে। আর শহরবাসীকে নূন্যতম পরিষেবা দিতে ব্যর্থ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা।” পুরপ্রধান কার্তিক ঘোষ বলেন, “বিজেপি সারা বছর মানুষের পাশে নেই। আর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও শহর এলাকায় বিজেপি লিড ছিল। তবে ২০১৫ সালে মানুষের তৃণমূলের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। এবারও শহরের মানুষ ধর্মের মেরুকরণের ভিত্তিতে নয়, উন্নয়ণের ভিত্তিতেই ভোদ দিবেন।”
বিজেপির এদিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারন পুরাতন মালদহ পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা রয়েছে ২০টি। আর বুথ রয়েছে ৫৬টি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে পুরাতন মালদহ পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডেই তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। আর ৫৬টি বুথের মধ্যেই বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৫১টি বুথেই। পুরাতন মালদহ শহর এলাকায় বিজেপি প্রার্থী তথা সংসাদ খগেন মুর্মূ ভোট পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫১টি। আর ১০ হাজার ৭৩টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নূর। মাত্র ৩ হাজার ৪৩টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। সিপিএম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষের ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ৭১৯ ভোট। পুরাতন মালদহ পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের থেকে প্রায় ২৪ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের হাওয়া পুরভোটেও ধরে রাখতে বিজেপি আন্দোলনের কর্মসূচী তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।