খেলা

২৯৫ রানে ঐতিহাসিক জয় ভারতের

 ঘরের মাঠে চুনকামের লজ্জায় মুখ ঢাকার পরে অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরে দাঁড়াল ভারত। এভাবেও ফিরে আসা যায়! এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়! টিম ইন্ডিয়া দেখিয়ে দিল সবই সম্ভব। সিরিজে তিন ম্যাচ হতশ্রী হারের পরও শত্রুপক্ষের মাটিতে নেমে ২৯৫ রানে বিরাট জয় ভারতের ছিনিয়ে নিল ভারত । পারথ টেস্ট যে এভাবে দিক পরিবর্তন করবে, তা কি কেউ আগে ভেবেছিলেন! প্রথম ইনিংসে ভরাডুবি। কিন্তু বুমরা-সিরাজরা অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন। ভারত ১৫০ রানে শেষ হয়ে গেলেও অজিদের ১০৪ রানে মুড়িয়ে দেন ভারতের বোলাররা। তার পরই  যশস্বী-বিরাটদের রানের ইমারত গড়া। ৫৩৩ রানে এগিয়ে থেকে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে ভারত। পাহাড় প্রমাণ রানের বোঝায় চাপা পড়ল অজিরা। বল হাতে আগুন জ্বালালেন বুমরা-সিরাজ। বিদেশের মাটিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মতো বোলিং শক্তি রয়েছে এই টিম ইন্ডিয়ার। ভারতের বিরুদ্ধে লড়লেন কেবল ট্রাভিস হেড (৮৯)। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে হেড একাই ভারতের সাজঘর থেকে ম্যাচ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তিনিই গোলাগুলি সামলাচ্ছিলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন মিচেল মার্শও (৪৭)। কিন্তু তার পর আর কে লড়াই করলেন! লড়াই করার মতো আর কেইবা অবশিষ্ট ছিলেন! চা পানের বিরতির সময়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৮ উইকেটে ২২৭ রান। বাকি দুই উইকেট ফেলা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। পারথ টেস্ট ভারত জিতে নিল ২৯৫ রানে। ২৩৮ রানে শেষ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। বুমরা ও সিরাজ তিনটি করে উইকেট নেন। ওয়াশিংটন সুন্দরের ঝুলিতে দু’টি উইকেট। হর্ষিত রানা ও নীতীশ রেড্ডি একটি করে উইকেট নেন।  অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে মাটি ধরিয়ে ক্রিকেটবিশ্বকে বার্তা দিয়ে গেল ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা নেই, নামী ব্যাটাররা ফর্মে ছিলেন না। নিন্দুকদের নখ-দাঁতে রক্তাক্ত হতে হয়েছিল। তিন টেস্টের সিরিজ হেরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের টিকিট জোগাড় করার সমীকরণ রীতিমতো কঠিন হয়ে গিয়েছিল। পাঁচটি টেস্টের মধ্যে জিততে হবে চারটিতে। আর একটিতে ড্র। ফিরে আসার জন্য দারুণ এক মঞ্চ খুঁজছিল ভারত। স্যর ডনের দেশে নিন্দুকদের জবাব দিলেন বুমরা-কোহলিরা।