মুম্বই: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বলিউডে ফের ইন্দ্রপতন। ইরফান খানের পর প্রয়াত ঋষি কাপুর। বয়স হয়ছিল ৬৭ বছর। গতকাল বুধবার রাতে প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের স্যার এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অভিনেতার সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন স্ত্রী নীতু কাপুর ও দাদা রণধীর কাপুর। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউডের এই ‘চকোলেট বয়’। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। শিল্পীর মৃত্যুর খবর আজ ঘোষণা করেন তাঁর দাদা অভিনেতা রণধীর কাপুর। এর খানিক আগেই অবশ্য ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করে দিয়েছিলেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। শোকাবার্তায় তিনি বলেন, ঋষি কাপুর চলে গেলেন। আই এম ডেস্ট্রয়েড…। প্রবীণ অভিনেতা ঋষি কাপুরের প্রয়াণে গভীর ভাবে
শোকাহত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর প্রয়াণে ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, দুর্দান্ত এবং প্রাণবন্ত মানুষ … এমনই ছিলেন ঋষি কাপুর জি। তাঁর এই মৃত্যু আকস্মিক। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনাও জানান মোদি। শোক জানিয়েছেন বলিউডের আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী, ক্রীড়াজগৎ সকলেই। ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকবার্তায় তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। একজন অভিনেতাকে নয়, স্কুলের সহপাঠীকে ট্যুইটে স্মরণ করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তিনি জানান, তাঁর থেকে উঁচু ক্লাসে পড়তেন ঋষি। কিন্তু একই স্কুলের পড়ুয়া হওয়ায় সংখ্যতা ছিল। একাধিকবার তাঁরা স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, নাটকে অংশ নিয়েছেন। প্রথম ছবি ববি থেকেই কাপুর ঘরানার ঐতিহ্য বহন করেছেন তিনি। আজ তিনি একজন ভালো বন্ধুকে হারালেন। ইরফান খানের মৃত্যুর খবরে
বলিউডের শোকাহত পরিবেশকে আরও শোকস্তব্ধ করে দিল ঋষি কাপুরের প্রয়াণের খবর। ১৯৭০ সালে তার রাজ কাপুরের ছবি মেরা নাম জোকারে শিশু শিল্পী হিসেবে তাঁরই ছোটবেলাকার চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পথ চলা শুরু হয় ঋষি কাপুরের। অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেই জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার জিতে নেন তিনি। এরপর নায়করে চরিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার সাথে ববি। এই ছবিতে অভিনয়ের সুবাদেই ১৯৭৪ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জয় করেন ঋষি। এরপর রফু চক্কর, খেল খেল মে, লায়লা মজনু, জিনি অউর জনি, কভি কভি, হাম কিসিসে কম নেহি, দুসরা আদমি, অমর আকবর অ্যান্টনি, নয়া দৌড়, সরগম, দো প্রেমী, কর্জ, নসিব, প্রেম রোগ, বড়ে দিলওয়ালে, কুলি, আন অউর শান, সাগর, নাগিনা, ঘর ঘর কি কাহানি, চাঁদনি, বেশরম, দিওয়ানা, হেনা, দিওয়ানা, দামিনি, ইনা মিনা ডিকা, রাজু চাচাল, নমস্তে লন্ডন সহ অগুন্তি ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে এক আলাদা জায়গা করে নেন তিনি। জয় করেছেন ফিল্মফেয়ার সহ অসংখ্যা পুরস্কারও।