জেলা

প্রয়াত নকশাল নেতা তথা সাহিত্যিক সন্তোষ রাণা

ঝাড়গ্রাম: দীর্ঘ রোগভোগান্তির পর অবশেষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নকশাল নেতা তথা সাহিত্যিক সন্তোষ রাণা। আজ শনিবার সকাল ছটা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন সন্তোষবাবু। রাজনৈতিক সাহিত্যে একাধিক কালজয়ী লেখার জন্ম দিয়েছে তাঁর ক্ষুরধার কলম। গত বছর আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি। ১৯৪৪ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুরের গোপী বল্লভপুরে জন্ম সন্তোষ রাণার। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময়েই কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। তারপর মতাদর্শগত যুদ্ধে সশস্ত্র পথকেই বেছে নিয়েছিলেন। নকশালবাড়ি আন্দোলনে চারু মজুমদারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেনানী ছিলেন সন্তোষ। সিপিআইএমএল-এর বিধায়ক ও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালের বিধানসভা ভোটে গোপীবল্লভপুর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) সশস্ত্র পথ ত্যাগ করে সংসদীয় পথ নেওয়ার পর একাধিক নিবন্ধ লিখেছিলেন তিনি। নেপালের মাও নেতা বাবুরাম ভট্টরাই-এর লেখা দলীল ‘ সন্ত্রাসের জনযুদ্ধ বনাম গণতন্ত্রের লংমার্চ’-এর স্বপক্ষে কলম ধরেছিলেন সন্তোষ।