সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জম্মু-কাশ্মীরে স্বস্তি। অবিলম্বে চালু করতে হবে ইন্টারনেট। সক্রিয় করতে হবে সরকারি ওয়েবসাইট , ই-ব্যাঙ্কিং। কেন্দ্রকে এমনই নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের। এমনকী সাত দিনের মধ্যে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা খতিয়ে দেখারও পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের।
নয়াদিল্লিঃ ৩৭০ ধারা অবিলুপ্তির পর এখনও অশান্ত কাশ্মীর। ব্যবসা–বাণিজ্য প্রায় স্তব্ধ। জনজীবন চলছে ধীরগতিতে। বন্ধ ইন্টারনেট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। এই অবস্থায় কাশ্মীরের জনগণকে স্বস্তি দিয়ে কেন্দ্রকে অবিলম্বে উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার যে নির্দেশ তার পর্যালোচনা করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। জম্মু–কাশ্মীরে কেন নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে সরকার এ নিয়ে মামলা দায়ের করেন কাশ্মীর টাইমস–এর সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন এবং কংগ্রেস সাংসদ গুলাম নবি আজাদ। শুক্রবার সেই গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে একথা বলল বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি আর সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইন্টারনেট। আর ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া সাধারণ মানু্ষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারায় এর উল্লেখ রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর বারংবার নিষেধাজ্ঞা বসানো উচিত নয়। আর এ ধরনের যেকোনও নিষেধাজ্ঞা বিচারবিভাগের অন্তর্গত। এতদিন ধরে কোনও জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা বা বারেবারে ১৪৪ ধারি জারি করা, আসলে ক্ষমতার অপব্যবহার। এরপরই কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়, অবিলম্বে উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি–সহ যে যে নির্দেশ জারি রয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেট–সহ জম্মু–কাশ্মীরে কার্যকর করা সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রশাসনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘জম্মু–কাশ্মীরের প্রত্যেক নাগরিক এই সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ৫ আগস্টের পর উপত্যকায় জারি করা সমস্ত নির্দেশিকা প্রকাশের জন্যও কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।’