বারাকপুর: উত্তর ২৪ পরগনার গারুলিয়া পুরসভার বিজেপি পরিচালিত পুর বোর্ডের পৌরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল তৃনমূল কংগ্রেসের ১২ জন জনপ্রতিনিধি। গত ৩ মাস আগে নোয়াপাড়ার বিধায়ক তথা গারুলিয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান সুনীল সিং তার সঙ্গে থাকা ১২ জন কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে ।যার ফলে গারুলিয়ার পুরবোর্ড তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে দখল নেয় বিজেপি। এরপর একে একে তৃণমূলে ফিরতে থাকে একাধিক দলছুট জন প্রতিনিধিরা। গত তিন দিন আগে নির্দল প্রতীকে জেতা সুনীল সিংয়ের দাদা চন্দ্রভান সিং যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনিও যোগ দেন তৃণমূলে। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তিনি বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসেন।শ্যামনগর ফিডার রোডের একটি জনসভায় সংবাদমাধ্যমকে খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, সোমবার দিন তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন গারুলিয়ার বর্তমান পুরবোর্ডের পুরপ্রধান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে । সেই মত সোমবার দুপুরে তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্বে ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বর্তমান বিজেপি পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থার সই করা চিঠি পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুনীল কুমার নস্করের কাছে জমা দেন তাঁরা।তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পৌরপিতা সঞ্জয় সিং জানান, “আমরা গারুলিয়া পৌরবোর্ড গঠনে সক্ষম। সেই কারণেই আমরা বর্তমান বিজেপি পরিচালিত পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীল সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। এই মুহূর্তে ২১টি ওয়ার্ডের এই পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের সংখ্যা ১২, বিজেপি ৮, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১জন কাউন্সিলর রয়েছে।”দলে যে কাউন্সিলররা নতুন করে ফিরেছে তাদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সঞ্জয় সিং বলেন, তারা বিজেপির বোর্ডে ঠিক মত কাজ করতে পারছিলেন না। তাই জন্য তারা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন।”অপরদিকে এই পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সুনীল সিং জানান, “আমাদের পক্ষে বিজেপির এখন ৮ জন প্রতিনিধি রয়েছে, ওদের পক্ষে ১২ জন রয়েছে । তাই ওরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন । এরপর যা আইনে রয়েছে তাই করা হবে ।”