কলকাতাঃ ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর মাথা ফেটে যাওয়া থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা-প্রতিক্রিয়া দিতে বা ছুটে যেতে দেরি করেননি পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু বুধবার রাতে বিশ্বভারতীতে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে একটি টুইটও করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । একটি পরিবেশ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান শেষে তাঁকে যখন সাংবাদিকরা বিশ্বভারতীর ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান, ধনকড় স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি কিছুই জানেন না। এদিন বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘আমি তো এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে রাজ্য সরকার কিছুই জানায়নি।’ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ধনকড় বলেন, ‘আমার সমস্ত খবর পাওয়ার উত্স রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে সরকার কিছু জানায়নি। জানতে পারলে আমি আপনাদের জানাব।’ বিশ্বভারতীতে হামলার ঘটনায় কাঠগড়ায় সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, গেরুয়া শিবিরের নাম জড়িয়েছে বলেই কি রাজ্যপাল ‘কিছুই জানেন না?’ এনারসি সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছিল বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে। তার মধ্যে গতকাল রাতে আচমকা হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। সকলের হাতে লাঠি, রড, উইকেট। অতর্কিতে মারধর করতে শুরু করে ছাত্রদের। সংঘর্ষে আহত হন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র স্বপ্ননীল মুখোপাধ্যায় এবং ফাল্গুনী পান নামে দুই ছাত্র। তাঁরা দু’জনেই এসএফআই করেন। চলতি মাসের পাঁচ তারিখে অনেকটা এই ধাঁচেই আক্রমণ নেমে এসেছিল জেএনইউয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপর। হস্টেলে ঢুকে নির্বিচারে মারধর করা হয়েছিল অধ্যাপিকা ও ছাত্রীদের। পরে জানা যায় এবিভিপির সদস্যরাই মুখে কাপড় বেঁধে, অস্ত্র হাতে নিয়ে ওই হামলা চালায়। ঠিক তেমনটাই হয় বিশ্বভারতীতেও। তবে এখানেই শেষ নয়। আহত অবস্থায় ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পিয়ারসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, সেখানে ঢুকে ফের একপ্রস্ত হামলা চলে।