ছিনতাই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হল এক এএসআই-কে৷ আজ সকালে নিজের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ তার সঙ্গে একজন সিভিক ভলান্টিয়রকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ বাকি দুজনকে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের চারজনকে মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯-এর ৩০ মে ৷ ব্যারাকপুর থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সোনা বিক্রি করতে যান স্বাগত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি ৷ তিনি সোনার দোকানের কর্মী ৷ ওই দোকান থেকে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম সোনার বাট গঙ্গারামপুরের একটি সোনার দোকানে বিক্রি করতে গিয়েছিলেন স্বাগত ৷ নির্দিষ্ট দোকানে গিয়ে সেই সোনা দেখান তিনি ৷ তবে, কোনও কারণে সেই সোনা কিনতে রাজি হননি ওই দোকানদার ৷ ফলে সোনা নিয়ে ফের কলকাতা ফিরছিলেন স্বাগত । কলকাতা ফেরার পথে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে স্থানীয় চেচু মোড়ের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁর সঙ্গে থাকা সোনা ছিনতাই করে পালিয়েছে৷ তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনায় মূল পান্ডা স্বাগত নিজে ৷ দুদিন আগে কলকাতার বরানগর থেকে তাকে আটক করে মালদা থানার পুলিশ ৷ পুলিশের জেরায় স্বাগত স্বীকার করে নেয়, ইংরেজবাজার থানার এএসআই রাজীব পাল-সহ কয়েকজনের সহযোগিতায় সে ওই সোনা চুরি করিয়েছে ৷ এরপরই স্বাগত ও তার এক সঙ্গী সেনাউল হককে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ গতকাল মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের আট দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ৷ আজ সকালে মালদা শহরের ১ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাজীবকে ৷ গ্রেপ্তার করা হয় ইলিয়াস সবজি ও আরও একজনকে ৷ ইলিয়াস ইংরেজবাজার থানার অন্তর্গত মিলকি ফাঁড়িতে সিভিক ভলান্টিয়র হিসেবে কর্মরত ৷