লকডাউনের মধ্যেও গণধর্ষণের শিকার মধ্যপ্রদেশের এক তরুণী। বুধবার রাতেই মধ্যপ্রদেশের পাধারে ঘটে ঘটনাটি। অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন নাবালক বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে মোটরবাইকে করে বাড়ির কাছের একটি পেট্রোল পাম্পে যায় ১৯ বছরের তরুণী। বাড়ি ফেরার সময় মোটরবাইকের হেডলাইট খুলে গেলে তরুণীর ভাই সেটা ঠিক করতে শুরু করে। তখনই আরও দুটি বাইকে করে তিনজন যুবক ঘটনাস্থলে এসে তরুণী ও তার ভাইকে আক্রমণ করে। প্রথমেই অভিযুক্তরা তরুণীর ভাইকে মারধর করে তাঁকে একটি কুয়োয় ফেলে দেয়। এরপর তরুণীকে নিকটবর্তী একটি পরিত্যক্ত বাঁধের কাছে নিয়ে যায়। সেখানেই সেই তিন যুবক তরুণীকে গণধর্ষণ করে। সেখানেই থাকা আরও ৪ অভিযুক্ত ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর তরুণীর ভাই কোনওক্রমে কুয়ো থেকে বেরিয়ে পরিজনেদের ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। এরপর পরিজনেরা তরুণীকে খুঁজতে খুঁজতে বাঁধের কাছে গিয়ে একজন অভিযুক্তকে ধরেও ফেলে। তবে পুলিশ আসতে দেরি করায় সেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তের জামা খুঁজে পায় পুলিশ। সেই জামার পকেটে অভিযুক্তের আধার কার্ড ছিল। সেখান থেকেই অভিযুক্ত লোকেশ সেনিয়ার বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পায় পুলিশ। তরুণীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিজনেরা। এক অভিযুক্তের ঠিকানা পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তদের খোঁজে পুরো এলাকা সিল করে তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার সকালেই পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে সন্দীপ হান্ডিয়া, শুভম বেলে ও তিনজন নাবালক ছিল। লোকেশ সেনিয়া সহ আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গেছে সাত অভিযুক্তই শ্রমিকের কাজ করত। হাসপাতালে তরুণীর মেডিকেল টেস্ট হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।