সৌদি আরবঃ সৌদি আরবের তেল উত্তোলনকারী সংস্থা ‘সৌদি আরামকো’র উপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করল ইয়েমেনের হাউতি জঙ্গিদল৷ শনিবার ভোর চারটে নাগাদ আচমকা আকাশপথে তেল উত্তোলনকারী সংস্থার বুকায়াক ও খুরাইস প্ল্যান্টের উপর বোমা ফেলে জঙ্গি গোষ্ঠীটি। হামলার জেরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় তেলের কনটেনারগুলিতে। আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এলাকার আকাশ। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷জানা গিয়েছে, অপরিশোধিত তেলের এই দু’টি প্ল্যান্টই বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ তেল প্ল্যান্ট। প্রতিদিন এই প্ল্যান্টে প্রায় ৭০ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল তৈরি হয়। তার পর আরব উপসাগর ও ভূমধ্যসাগর দিয়ে বিভিন্ন দেশে রপতানি করা হয় সেই তেল। এর আগে ২০১৭ সালে সৌদি আরবের রাজপ্রাসাদ লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছিল ইরানের মদতপুষ্ট ইয়েমেনের হাউতি সন্ত্রাসবাদীরা। তবে লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগেই রিয়াধের রাজপ্রাসাদকে তাক করে ছুটে আসা সেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথে রুখে দিতে সক্ষম হয় সৌদি সেনাবাহিনী। কিন্তু এবার শেষরক্ষা হয়নি। লাগাতার বিস্ফোরণের জেরে ভয়াবহ আগুনে কার্যত নিশ্চিহ্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ওই দু’টি কারখানা। সৌদির অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রকের মুখপাত্রের বয়ান উদ্ধৃত করে সরকারি সংবাদ সংস্থা এসপিএ একথা জানিয়েছে। এই হামলার কিছউক্ষণের মধ্যেই দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হাউতি সন্ত্রাসবাদীরা।সম্প্রতি উপসাগরীয় দেশগুলির তেলের ট্যাঙ্কার লক্ষ্য করে ইরান হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আমেরিকা ও সৌদি আরব। অন্যদিকে, এর আগে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই তেল সংস্থায় আত্মঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল আল কায়দার জঙ্গিরা। সম্প্রতি ‘সৌদি আরামকো’কে নিজেদের পেট্রোপণ্য ব্যবসার ২০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির কথা ঘোষণা করেন মুকেশ আম্বানি। প্রায় ৫৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির শর্ত মেনে প্রতিদিন জামনগর শোধনাগারে পাঁচ লক্ষ ব্যারেল অশোধিত তেল পাঠায় আরামকো।