ওয়াশিংটনঃ সিরিয়া থেকে ইরাক যাতায়াতের পথে একটি দ্বীপে দু-একরাত কাটিয়ে যেত আইএস জঙ্গিরা। ৪০ টন বোমা ফেলে আইএস জঙ্গিদের সেই ‘হোটেল দ্বীপ’ কার্যত ধ্বংস করতে দিল আমেরিকা। এর জেরে খতম হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন জঙ্গি। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া ওই অভিযানের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন ইরাকের কাউন্টার টেররিজম সার্ভিস(সিটিএস)-এর এক মুখপাত্র আল নুমান।বুধবার এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, ইরাকের টাইগ্রিস নদীতে অবস্থিত কুনাস দ্বীপে হোটেলের মতো পরিবেশ বানিয়ে ছিল আইএস জঙ্গিরা। ইরাক থেকে সিরিয়া যাওয়ার পথে দু-একটি রাত কাটানোর জন্য এই দ্বীপটিকে ব্যবহার করছিল তারা। গত ১০ তারিখ মার্কিন বায়ুসেনার এফ-১৫ লাইটনিং টু এবং এফ-১৫ স্ট্রাইক ইগলস ওই দ্বীপে হামলা চালায়। প্রায় ৪০ টন বোমা ফেলে। এর জেরে ওই দ্বীপ থাকা কমপক্ষে ২৫ জন আইএস জঙ্গি খতম হয়েছে। মার্কিন হামলার পরে জঙ্গিরা খতম হতেই ওই দ্বীপে তল্লাশি চালান সিটিএসের সদস্যরা। সেখান থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে যার মধ্যে রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড লঞ্চারস(আরপিজিএস), প্রচুর রকেট ও আইইডি রয়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘গত ১০ তারিখ কুনাস দ্বীপের মোট ৩৭টি জায়গায় বোমা ফেলে মার্কিন যুদ্ধবিমান। লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে আইএস জঙ্গিদের কাটা পরিখা এবং গুহাও ছিল। এই দ্বীপে মাটির উপর বিশেষ কোনও নির্মাণ না থাকলেও, মাটির নীচে গর্ত করে গুহা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে জঙ্গিদের বিশ্রামের ব্যবস্থা ছিল।’মার্কিন হামলার পরে ইরাকের লেফটেন্যান্ট জেনারেল আল-সাদির নেতৃত্ব একটি দল ওই দ্বীপে গিয়েছিল। পরে এপ্রসঙ্গ তিনি জানান, কুনাস দ্বীপে বিমান হামলার আগে মার্কিন ড্রোন ব্যবহার করে গোপনে নজরদারি চালানো হয়। ছোট ওই ভূখণ্ডে কোনও সাধারণ মানুষ ছিলেন না। এটা নিশ্চিত হওয়ার পরই জঙ্গিদের আস্তনাগুলি লক্ষ্য করে বোমা ফেলা হয়।