মালদা

গঙ্গায় ভাঙ্গন শুরু, প্রশাসনের জারি লাল সর্তকতা

হক জাফর ইমাম, মালদা: মালদায় গঙ্গা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গার জল বেড়েছে প্রায় ২০ সেন্টিমিটার। জেলা প্রশাসন জারি করেছে লাল সতর্কতা। গঙ্গার পাশাপাশি ফুলহার নদীতেও জারি রয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে লাল সতর্কতা।গঙ্গা ও ফুলহার নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে জল ঢুকছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়া ব্লকের ফুলহার তীরবর্তী প্রায় আটটি গ্রামে নদীর জল ঢুকেছে। জলবন্দি হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক মানুষ। বিপদ বাড়িয়েছে গঙ্গার জলবৃদ্ধি। মালদা মানিকচক ব্লকের নদী তীরবর্তী এলাকাও জলবন্দি। বেশ কয়েকটি স্কুল জলের তলায় চলে গিয়েছে। পঠনপাঠন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। এই জল সরে গিয়ে কবে পড়াশোনা স্বাভাবিক ভাবে মূলস্রোতে ফিরবে তা নিয়ে সংশয়ে আছেন স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা।নতুন করে জল ঢুকছে ইংরেজবাজার ব্লকের খাসখোল এলাকায়। কালিয়াচক ৩নং ব্লকের শোভাপুর পারদেওনাপুর গ্রামের বাসিন্দাদের বিপদ বাড়িয়েছে গঙ্গার জলবৃদ্ধি। ওই এলাকায় রাস্তার উপর দিয়ে হু হু করে গ্রামে ঢুকছে গঙ্গার জল। জলের তোড়ে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পাশাপাশি গঙ্গার তীরে চলছে লাগাতার ভাঙন। পুজোর আগে গঙ্গার এমন রূপে আতঙ্কিত পারদেওনাপুর ও শোভাপুর এলাকার মানুষ হঠাৎ গঙ্গার জল বেড়ে যাওয়ায় পারদেওনাপুর ও শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পোস্ট অফিস পাড়া, হাজি পাড়া,  তিন নম্বর কলোনি, চার নম্বর কলোনি-সহ একাধিক গ্রামে ইতিমধ্যে ঢুকেছে জল। বৈষ্ণবনগরের টাউনশিপ মোড় হতে পারলামপুর ঘাট যাওয়ার রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পুজোর আগে গঙ্গার ভাঙনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামজুড়ে। জল ঢুকছে গ্রামে, আর তার সঙ্গে নদী তীরে ভাঙন অব্যাহত। নদীর গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বহু গাছপালা, জমি। জলবন্দি মানুষ। পুজোর আগে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় মানুষের প্রাত্যাহিক জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন তাঁরা, উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে জলবন্দি পরিবারগুলি।এদিকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। মনিটরিং টিম করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা এই টিম নজর রাখছে। প্রয়োজনীয় ত্রিপল ও শুকনো খাবার জলবন্দি এলাকাতে পাঠানো হয়েছে।