সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করার আগে পর্যন্ত তাঁদের গৃহবন্দী করে রেখেছিল প্রশাসন। পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে তাঁর বাসস্থান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে শ্রীনগরের এই সরকারি আবাসনে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রবিবার থেকেই সব রকম প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রবিবার গভীর রাতেই মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং সাজ্জাদ লোনকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর জেলায় ১৪৪ ধারাও জারি করেছিল প্রশাসন। কাশ্মীর জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। পুলিশ অফিসারদের দেওয়া হয়েছে স্যাটেলাইট ফোন। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। নিষিদ্ধ করা হয়েছে মিটিং-মিছিল। তারপর সোমবার সকালেই আসে বিশেষ ঘোষণা। জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। সংসদে সেই সিদ্ধান্তের কথা আজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সিদ্ধান্তের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান মেহবুবা মুফতি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের গণতন্ত্রে আজ কালো দিন। ১৯৪৭ সালে দুই দেশের তত্ত্ব নাকচ করা ও ভারতের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তেরই ফল এটা। এই সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অসাংবিধানিক। জম্মু কাশ্মীরের ওপর তীব্র আঘাত নেমে আসতে চলেছে।’ তারপরেই তাঁকে ও ওমর আবদুল্লাকে গ্রেপ্তারের খবর আসে।