প্যারিসঃ ছ’বছর টানা কোমায় থাকার পরে সাড়া দিলেন ফর্মুলা ওয়ানের সম্রাট মাইকেল শ্যুমাখার! মিরাকেল কি একেই বলে! হতবাক চিকিৎসকেরাও। সালটা ২০১৩। তারিখ ২৯ ডিসেম্বর। বরফে ঢাকা আল্পসের পর্বতমালা। সেখানেই স্কি করতে গিয়েছিলেন কিংবদন্তী ফর্মুলা ওয়ান রেসার মাইকেল শ্যুমাখার। ৯১টি গ্রাঁ পি ও সাতটি বিশ্বখেতাব জয়ের রেকর্ড করা শ্যুমাখার ভাবতে পারেননি, রেসিং ট্র্যাকে অনায়াসে গতির ঝড় তুলতে পারলেও, বরফের ঢালে তা হয়তো খুব একটা সহজ হবে না। আছড়ে পড়েছিলেন অনেকটা উচ্চতা থেকে। মারাত্মক চোট মাথায়। কোমায় চলে যান তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সব আশা শেষ। কিন্তু সব শেষের পরেও শেষ নিঃশ্বাস ফেলেননি শ্যুমাখার। টানা ৬ বছর কোমায় ছিলেন।অবশেষে, এত বছর পরে জ্ঞান ফিরল তাঁর! এত বড় মিরাকেলে চমকে গেছেন বিশ্ববাসী। মারাত্মক স্কি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন কিংবদন্তী ফর্মুলা ওয়ান চালক শ্যুমাখার। বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু লড়াকু সৈন্যেরা কি এত সহজে ময়দান ছাড়ে? শ্যুমাখারও ছাড়েননি। অন্য লড়াই চলেছে কোমার ভিতরে।যদিও চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় এত দিনেও কোনও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি সারা বিশ্বের ভালবাসার মানুষ শ্যুমির। কিন্তু ছ’বছর পরে, অবশেষে অবশেষে জ্ঞান ফিরেছে ফর্মুলা ওয়ান চালকের। শেষ অনেক দিন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। মাত্র দিন দুই আগে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্যারিসের জর্জেস পম্পিদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই কার্ডিও ভাসকুলার সার্জেন ফিলিপ মেনাস চিকিৎসা করেন তাঁর। আর তাতেই সাড়া দিচ্ছেন তিনি। দুর্ঘটনার পরে সুইৎজারল্যান্ডের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। বেশ কিছু দিন থাকার পরে চিকিৎসকেরা হাল ছেড়ে দিলে, ফ্রান্সে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। কিছু দিন রাখা হয় প্যারিসের একটি হাসপাতালে। তার পরে সেখান থেকে বাড়ি আনা হলে, দীর্ঘদিন বাড়িতে রেখেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।