দেশ

জেএনইউ-তে বড় জয় পড়ুয়াদের, বাড়ছে না হোস্টেলের খরচ

অবশেষে প্রবল প্রতিবাদের মুখে পড়ে পিছু হঠতে বাধ্য হল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক টুইট করে জানাল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হোস্টেলের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না। জেএনইউ কর্তৃপক্ষের নতুন হোস্টেল নীতির বিরুদ্ধে গত ১৫ দিন ধরেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। হোস্টেলের জল ও বিদ্যুতের ভাড়া বৃদ্ধি, লাইব্রেরি ব্যবহারের সময়ে পরিবর্তন, পড়ুয়াদের পোশাক বিধিতে বদল-সহ বেশ কিছু নীতি পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেনএনইউ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এই নীতির বিরুদ্ধে গত মাসের শেষের দিক থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি সামলাতে ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে তাতে পড়ুয়াদের প্রতিবাদে ছেদ পড়েনি। পড়ুয়াদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও পরিবর্তিত হোস্টেল নীতিতে অনড় ছিল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের কাছে অন্দোলন প্রত্যাহারের আবেদনও জানানো হয়েছিল। তবে তাতে কাজের কাজ হয়নি। ওই হোস্টেল নীতি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছিলেন পড়ুয়ারা। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সোমবার সকাল থেকেই জেএনইউ ক্যাম্পাসের বাইরের রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তাঁদের বিক্ষোভ চলতেই থাকে। রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে শুরু করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রতিবাদ দেখানো, প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার দাবি- সেদিন এ সবেরই সাক্ষী ছিল জেএনইউ। সকাল থেকেই দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের। পড়ুয়াদের ছত্রভঙ্গ করতে সেদিন জলকামানও ব্যবহার করেছিল পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন পড়ুয়াদের এক প্রতিনিধিদল। তবে তা সত্ত্বেও কোনও সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যায়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার পর সেখান থেকে চলে যান তিনি। যদিও কর্তৃপক্ষেরহোস্টেলের ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন পড়ুয়া। পড়ুয়াদের দাবি, কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেনি। কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না সাধারণ পড়ু্য়াদের সঙ্গে কথা বলছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।